নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা
নারায়ণগঞ্জ সদরে পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে ছেলে সোহাগের পর, মা মনোয়ারা বেগমও (৩৫) মারা গেলেন। এখনও আশঙ্কাজনক রয়েছেন স্ত্রী-সন্তানকে ছুরিকাঘাতের পর নিজেও আত্মহননের চেষ্টা করা হারেজ মিয়া (৪৫)।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনোয়ারা বেগম মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি।
আজ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গেদ্দারবাজার এলাকায় একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে সকালে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ছেলে সোহাগ মিয়া (১৫) থামাতে এলে বাবা হারেজ মিয়া তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকেও ছুরিকাঘাত করেন। দুইজনকে ছুরিকাঘাত করার পর নিজেও আত্মহননের চেষ্টা করে হারেজ।
স্থানীয়রা জানালে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে সোহাগ ও পরে মনোয়ারা মারা যান।
ওসি বলেন, ‘হারেজ একজন রিকশা চালক। সংসারে অভাব অনটন নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো বলে জানা গেছে। তবে কী কারণে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটল তা জানা যায়নি।
Comments