অনুমোদন ছাড়াই করোনা পরীক্ষা, ক্লিনিক মালিক কারাগারে

সরকারি অনুমোদন না নিয়ে করোনা পরীক্ষা করার অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ক্লিনিকের মালিক আব্দুল ওহাব রানাকে আটক করেছে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
Rooppur_Medicare.jpg
রূপপুর মেডিকেয়ার। ছবি: স্টার

সরকারি অনুমোদন না নিয়ে করোনা পরীক্ষা করার অভিযোগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ক্লিনিকের মালিক আব্দুল ওহাব রানাকে আটক করেছে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

সূত্র জানায়, উপজেলার রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিকের মালিক রানা করোনা পরীক্ষা করাতে প্রতি জনের কাছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা করে নিতেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (আরএনপিপি) শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের সংগ্রহের জন্য প্রকল্প এলাকার পাশেই একটি পরিত্যক্ত ইটভাটার মাঠে তাবু টানিয়ে বুথ স্থাপন করেন।

সূত্র আরও জানায়, মেডিকেয়ার ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নমুনা পরীক্ষা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসতো অনলাইনে। সেই কপি প্রিন্ট করে দেওয়া হতো। রিপোর্টগুলোতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে চেয়ারম্যান ডাক্তার আবু সাইদের স্বাক্ষর আছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এফ এ আসমা খান বলেন, ‘সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট দিতে পারবে। সিভিল সার্জন অফিস নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠাবে। রিপোর্ট সিভিল সার্জন অফিস বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। রূপপুর মেডিকেয়ার ক্লিনিক কীভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ ও রিপোর্ট প্রদান করছে তা আমার জানা নেই।’

শেখ নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আব্দুল ওহাব রানা, তার সহযোগী সুজন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবু সাইদকে আসামি করে বুধবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

7h ago