‘এমপি পাপুলের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে’

মানব পাচার ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল | ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচার ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবপাচারের যে ঘটনাপ্রবাহ তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে এটি একজন এমপির নৈতিক স্খলনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত জুনে এমপি শহীদুল ইসলাম পাপুল আটক হবার পর কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামকে সতর্ক করতে বাধ্য হন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

সপ্তাহের শুরুতে মোমেন জানান, রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার মানবপাচারের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ করলে বাংলাদেশ তাকে কোনো ছাড় দেবে না।

তিনি বলেন, ‘অর্থ পাচার ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স বজায় রেখেছে। অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানান, রাষ্ট্রদূত কালামের চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ চলতি মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ, এরপরই তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।

মোমেন আরও বলেন, ‘আমরা কুয়েতের জন্য পরবর্তী রাষ্ট্রদূতকে চূড়ান্ত করেছি।’

মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন কুয়েতে গ্রেপ্তার হন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল। ২৩ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন কুয়েতের অ্যাটর্নি জেনারেল।

মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, পাঁচ বাংলাদেশির সাক্ষ্যগ্রহণের পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জবানবন্দীতে তারা জানান, কুয়েতে আসার বিনিময়ে তারা ৩ হাজার দিনার (৯ হাজার ৭৪৩ ডলার) প্রদান করেছেন। ভিসা নবায়নের জন্যও বার্ষিক অর্থ প্রদান করেছেন।

বাংলাদেশি এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি কুয়েতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ হিসেবে পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি দিয়েছিলেন। যাতে তিনি সেখানে যে কোম্পানি পরিচালনা করেন তার জন্য চুক্তির মাধ্যমে কাজ পেতে পারেন।

তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রেও ভিসা বাণিজ্য ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে কুয়েতের গণমাধ্যম।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago