শিরোপার লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কোর্তোয়া: জিদান
আলাভেসের বিপক্ষে নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখিয়ে গোলপোস্ট অক্ষত রাখা থিবো কোর্তোয়া পেয়েছেন জিনেদিন জিদানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। রিয়াল মাদ্রিদ কোচের মতে, লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার চেয়ে আবারও চার পয়েন্টে এগিয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। বাকি থাকা তিন ম্যাচের দুটিতে জিতলেই দুই বছর পর স্পেনের শীর্ষ লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধার করবে তারা।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে রিয়ালের রক্ষণভাগের খোলনলচে পাল্টাতে বাধ্য হয়েছিলেন জিদান। চোটের কারণে ছিটকে গেছেন মার্সেলো। নিষেধাজ্ঞার কারণে অধিনায়ক সার্জিও রামোস আর দানি কারভাহালও খেলতে পারেননি। উইঙ্গার লুকাজ ভাজকেজকে তাই খেলতে হয়েছে রাইট ব্যাক হিসেবে।
রক্ষণভাগের মূল সৈনিকদের ছাড়া মাঠে নামা স্বাগতিকদের বেশ কয়েকবার বিপদে ফেলে আলাভেস। তবে তাদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে আবির্ভূত হন কোর্তোয়া। চারটি অসাধারণ সেভ করে ‘ক্লিন শিট’ নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ২৮ বছর বয়সী তারকা। লিগের সবশেষ পাঁচ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেননি তিনি।
ম্যাচশেষে গণমাধ্যমের কাছে জিদান বলেছেন, ‘সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় এবং (শিরোপার লড়াইয়ে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এটা দলগত প্রচেষ্টা হলেও থিবো অনেক গোল ঠেকিয়ে দিচ্ছে এবং (সেকারণে) আমরা খুব ভালো করছি।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘একেবারেই গোল হজম না করা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু এটা সত্য যে, আমরা খুব কম গোল হজম করছি। আমরা যা করছি, সেটা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে এবং আমাদের আছে কোর্তোয়া, যে কিনা দারুণ ফিট।’
চলতি মৌসুমে নিজেকে ফিরে পাওয়া কোর্তোয়ার গেলবারের পারফরম্যান্স নিয়ে হয়েছিল অনেক সমালোচনা। বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ২০১৮ সালের অগাস্টে ইংলিশ ক্লাব চেলসি থেকে রিয়ালে নাম লেখানোর পর মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছিল তার। লিগের ২৭ ম্যাচে মাত্র আটটিতে ‘ক্লিন শিট’ রাখতে পেরেছিলেন তিনি।
তবে লা লিগায় এবার মোট ৩২ ম্যাচ খেলে ১৮টিতে প্রতিপক্ষ দলকে গোল করা থেকে বিরত রেখেছেন সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার এই গোলরক্ষক। ম্যাচপ্রতি মাত্র ০.৫৬ গোল হজম করে আসরের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জামোরা ট্রফি জয়ের দৌড়ে শীর্ষে আছেন তিনি।
Comments