নারায়ণগঞ্জ এখন কম ঝুঁকিপূর্ণ: সিভিল সার্জন
নারায়ণগঞ্জ নতুন করে রেড জোন করার কারণ নেই, নারায়ণগঞ্জ এখন কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ইমতিয়াজ।
আজ শনিবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আগে বলা হতো, নারায়ণগঞ্জ থেকে মানুষ গিয়ে অন্য জেলায় করোনা ছড়াচ্ছে। কিন্তু এখন নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য জেলায় গিয়ে সেখান থেকে ঈদের পর নারায়ণগঞ্জে এলে সেক্ষেত্রে আক্রান্ত বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা সভা করেছি। স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হবে। তবে জাতীয় পর্যায়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি আগামী ঈদ কীভাবে পালন করা হবে।’
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলাসহ সিটি করপোরেশন এলাকায় কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। জেলায় দুটি পিসিআর ল্যাব বুথে ১০৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে নতুন করে ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জন জানান, মূলত তিনটি কারণে করোনার নমুনা পরীক্ষার চাপ কমেছে। প্রথমত আক্রান্ত অনেক রোগীই সুস্থ হয়ে গেছেন। দ্বিতীয় কারণ হলো, ফলোআপ নমুনা পরীক্ষা কমে গেছে। কারণ আগে আক্রান্ত হলে দুইবার নমুনা পরীক্ষা করতে হতো। এখন সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে। আর তৃতীয়ত হলো, করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের কারণে কিছুটা কমে এসেছে। এ তিনটি সম্মিলিত কারণেই রোগীদের নমুনা পরীক্ষার চাপ কমেছে।’
মুহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘নমুনা সংগ্রহের চাপ কমে যাওয়ায় আমরা গতকাল শুক্রবার নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখি। তবে দুটি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ চলছে। আর আজ থেকেই আবারও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা দেওয়ার ফি নির্ধারণের পর থেকেই সিটি করপোরেশন এলাকায় নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়।’
তিনি জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০ বছর বয়সী একজন। এখন পর্যন্ত জেলায় ২৮ হাজার ১৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ হাজার ৫৩৯ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১২১ জন মারা গেছেন এবং ৪ হাজার ৫২৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
তিনি আরো জানান, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় সব থেকে বেশি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এখানে ১ হাজার ৯২৮ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬৬ জন মারা গেছেন ও সুস্থ হয়েছেন ১৫২৮ জন। এরপরই সদর উপজেলায় আক্রান্ত ১২৯৭ জনের মধ্যে মারা গেছেন ২২ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১১০২ জন। রূপগঞ্জ উপজেলায় ১০৯৩ জন আক্রান্তের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন ও ৯১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। সোনারগাঁও উপজেলায় ৪৭৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জন মারা গেছেন ও ৩৮২ জন সুস্থ হয়েছেন। আড়াইহাজার উপজেলায় ৫৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৫২৩ জন। আর বন্দর উপজেলায় ২১২ জন আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গেছেন ও সুস্থ হয়েছেন ২০৭ জন।
Comments