রাঙ্গামাটিতে আমের বাম্পার ফলনেও ক্ষতির মুখে চাষিরা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/rangamati_mango_photo_1.jpg?itok=1d0Sb8Au×tamp=1594470673)
রাঙ্গামাটি জেলায় এবার আমের ফলন হয়েছে গত বছরের প্রায় দ্বিগুণ। তবে বাম্পার ফলন হলেও স্থানীয় বাজারে দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অনেকেই বলছেন, যে দাম পাচ্ছেন তাতে বাগান খরচও উঠে আসবে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর ৩ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন। যেখানে গত বছর লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।
রাঙ্গামাটি শহরের সমতাঘাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকায় আম বিক্রি করছেন, যেখানে গত বছর তারা ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন।
সদর উপজেলার বন্দুকভঙ্গা গ্রামের আম বাগানের মালিক দীপঙ্কর চাকমা বলেন, তিনি ১২ মণ আম বাজারে নিয়ে এসেছেন। প্রতি মণ আম বিক্রি করেছেন ৪০০- ৫০০ টাকায়। তবে গত বছর প্রতি মণ আম ১০০০-১২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাজার পর্যন্ত আম নিয়ে আসার জন্য ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া এবং শ্রমিকের পেছনে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার টাকা।
‘আমি আমার আম খুব সস্তায় বিক্রি করেছি। কারণ এ বছর আমের অনেক ভালো ফলন হয়েছে তাই অনেক আম বাজারে আসায় আম খুব কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া এই করোনার কারণে বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা কম আসছেন। বাগানে যে পরিমাণ খরচ করেছি তাও উঠবে না,’ বলেন দীপংকর।
সদর উপজেলার কান্দেবছড়া গ্রামের অনন্ত লাল চাকমা জানান, জুনের প্রথম সপ্তাহে তিনি প্রতি কেজি আম্রপালি আম বিক্রি করেছেন ৭০-৮০ টাকায়। আর গত সপ্তাহে কেজি প্রতি মাত্র ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করেতে হয়েছে।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপপরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, 'জেলায় বাম্পার উৎপাদনের কারণে আমের দাম কমেছে। তবে আনন্দের কথা হলো, এ বছর দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে রাঙ্গামাটির আম।'
Comments