মেসিকে বিশ্রাম দিতে চান কোচ, কিন্তু...

কিছুদিন আগেই ৩৩তম জন্মদিন পালন করেছেন বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই একটু বিশ্রাম দাবি করতে পারেন তিনি। তার উপর প্রতি সপ্তাহেই কমপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলতে মাঠে হতে হচ্ছে তাকে। তাই মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভাবছেন কোচ কিকে সেতিয়েনও। কিন্তু তার সুযোগই পাচ্ছেন না তিনি। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে পারফরম্যান্স খুব ভালো নয় দলটির। সেখানে মেসিকে ছাড়া সংগ্রামটা আরও বাড়তে পারে দলটির, তা খুব ভালো করেই জানেন কোচ।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিরতি শেষে ফেরার পর এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই পুরো সময় খেলেছেন মেসি। অথচ নতুন ফেরায় টানা সূচিতে খেলার কথা ভেবে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে পাঁচ জন খেলোয়াড় বদল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ক্লাবগুলোকে। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি বার্সেলোনার। কারণ জাভি-ইনিয়েস্তাদের বিদায়ের পর দলটি অনেক দিন থেকেই মেসি নির্ভর। সাম্প্রতিক সময়ে দলের যতো গোল আসে তার প্রায় সবগুলোতেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান এ আর্জেন্টাইন তারকার।
এছাড়া ফেরার পর লা লিগার তিনটি ম্যাচ ড্র করে শীর্ষস্থান হারিয়েছে বার্সেলোনা। তাই লিগ শিরোপা হাতছাড়া প্রায় হয়ে গেছে দলটির। আর একটি ম্যাচে পা হড়কালে শিরোপা দৌড় থেকেই ছিটকে যাবে তারা। এ অবস্থায় চাইলেও মেসিকে বিশ্রাম দিতে পারছেন না সেতিয়েন। মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন কি-না প্রশ্নে বলেন, 'অবশ্যই। আমি এটা আগেও বলেছিলাম, তবে স্কোর খুব টাইট ছিল। আমরা যদি প্রথমার্ধে আরও বেশি গোল করতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া হতো। দল ক্লান্ত ছিল।'
আগের দিন ভায়াদলিদের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটির যোগানদাতা সেই মেসিই। তবে এ ম্যাচের দুই অর্ধে আতোঁয়ান গ্রিজমান ও লুইস সুয়ারেজকে ভাগ করে খেলিয়েছেন সেতিয়েন। তাদের বিশ্রাম দেওয়া প্রসঙ্গে কোচ বলেন, 'তাকে (সুয়ারেজ) বিশ্রাম দেয়া অবশ্যই ভালো কিছু। সুয়ারেজ এর আগে টানা পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে এবং অবশ্যই তাকে এক সময় বিশ্রাম দিতে হতো। গ্রিজমান উঠে এসেছে কিছু ইনজুরি সমস্যার কারণে। সে নিজে থেকেই নামাতে বলেছে। আমরা দেখব তার কি সমস্যা হয়েছে।'
তবে জয় পেলেও আগের দিন হারতেও পারতো বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে দলটিকে বেশ চেপে ধরেছিল ভায়াদলিদ। তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সেতিয়েন, তাদের সামনের দিকে মানসম্মত এবং প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় ছিল। আমরা পুরো মাঠ জুড়ে খেলতে পারিনি। আমাদের পেছনের দিকে ফিরে যেতে হয়েছে যেটা আরও কঠিন করে দিয়েছে। প্রথমার্ধেই আমাদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া উচিৎ ছিল, আমাদের দুই-তিনটা গোল করা উচিৎ ছিল। দুশ্চিন্তা সবসময় ছিল কারণ ১-০ গোলে এগিয়েছিলাম, তারা যে কোনো সময় গোল করতে পারতো। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সংগ্রাম করেছি। আমরা কিছু খেলোয়াড়ের ক্লান্তি লক্ষ্য করেছি।'
Comments