সুনামগঞ্জে বন্যা

বাড়ছে পানি, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ

সুনামগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম হাজিপাড়া থেকে ছবিটি আজ রবিবার (১২.৭.২০২০) বিকেলে তোলা। ছবি: সংগৃহীত

কয়েকদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা বন্যায় সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ভেসে যাচ্ছে লোকালয়, রাস্তাঘাট। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ।

সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম হাজিপাড়ার রূশনারা বেগমের ঘরে বন্যার পানি। পাশের বাড়ির সিঁড়িতে শনিবার রাত কাটিয়েছেন। আজ সকালে এক মাইল পথ নৌকায় পাড়ি দিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ভাত-আলু সিদ্ধ করে এনেছেন।

রূশনারা বেগম বলেন, পানি যদি আরও বাড়ে তাহলে পরিবার নিয়ে উঁচু রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা শহরের মল্লিকপুরের আমিন মিয়া বলেন, ‘আমার দুই সন্তান স্ত্রীসহ রাস্তায় যাচ্ছি থাকার জন্য। কারণ বাড়িতে হাঁটু পানিতে সাপের ভয়। যে কোন সময় বাচ্চাদের কামড় দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কেবল আমরাই না অনেক গরিব মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন। হু হু করে  লোকালয়ে পানি ঢুকছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে রাস্তাঘাট।’

একই অবস্থা সুনামগঞ্জের অনেক জায়গায়। বসতঘরে পানি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে অনেকে‌ই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু স্থানে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার বেশিরভাগ অঞ্চলই নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা  করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও ২০টি পৌরওয়ার্ড প্লাবিত  হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি পরিবার। দুটি পৌরসভা ও আটটি উপজেলায় নগদ ৬ লাখ টাকা, ৩৪৫ মেট্রিক টন চাল, দেড় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

‘Seize the moment to anchor democracy’

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

8h ago