উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে পারবে ম্যানসিটি

অবশেষে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে আর কোনো বাধা রইলো না দলটির। ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স ও ফেয়ার প্লে নীতির লঙ্ঘন কারার দায়ে পাওয়া ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে দুই মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলো দলটি।
manchester city
ছবি: রয়টার্স

অবশেষে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে আর কোনো বাধা রইলো না দলটির। ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স ও ফেয়ার প্লে নীতির লঙ্ঘন কারার দায়ে পাওয়া ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে দুই মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হলো দলটি।

সোমবার কোর্ট অব আর্বিট্রেশন অব স্পোর্টস (সিএএস) এক বিবৃতিতে জানায়, স্পন্সর থেকে পাওয়া অর্থে কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি তারা। তবে তদন্ত করতে উয়েফাকে সবধরণের সহযোগিতা না করায় জরিমানা করা হয়েছে সিটিকে। তবে সেটাও আগের চেয়ে কম। এর আগে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করলেও তা নামিয়ে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড করা হয়েছে।

২০১৮ সালের নভেম্বরে জার্মান সংবাদপত্র ‘ডার স্পিগেল’ তাদের একটি প্রতিবেদনে কিছু গোপন নথি প্রকাশ করে বলেছিল, ম্যানচেস্টার সিটি তাদের একটি স্পন্সরশিপ চুক্তির অর্থের পরিমাণ নিয়ে উয়েফাকে ভুল তথ্য দিয়েছে। এরপর ক্লাবটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি। তখন উয়েফা জানিয়েছিল, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে স্পন্সরশিপ রাজস্ব থেকে আয়কৃত মোট অর্থের সঠিক হিসাব দেয়নি ম্যান সিটি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ অর্থের অঙ্ক ‘বাড়িয়ে’ বলেছে। পাশাপাশি দলটির বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে ‘সহায়তা না করার’ অভিযোগও আনে তারা।

যে কারণে গত ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে দুই মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় সিটিকে। পরে সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে আপিল করেছিল ক্লাবটি। আপিলের পর রায় আসে তাদের পক্ষেই, নিষেধাজ্ঞা গেলো নিষেধাজ্ঞা।

আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতার আনতে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে ফিন্যান্সিয়াল পাওয়ার প্লে চালু করেছিল উয়েফা। কোনো ক্লাব যেন মাত্রারিক্ত অর্থ বিনিয়োগ করে খেলোয়াড়দের বেতন ও দলবদলে বিরূপ প্রভাব না ফেলতে পারে তাই এ আইন করে তারা। ক্লাবগুলো যেন নিজের আয়ের চলতে পারে।

Comments