সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, হুমকির মুখে বাঁধ

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিরাজগঞ্জের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেলকুচি উপজেলা থেকে ছবিটি তোলা। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিরাজগঞ্জের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে যমুনা নদীর হার্ড পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার এবং কাজীপুর পয়েণ্টে বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।  

রফিকুল ইসলাম আরও জানান, উজানের ঢল আর টানাবর্ষনে সারাদেশের নদনদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ অবস্থা আরও কতদিন থাকবে এ বিষয়টি এখনও

নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে বন্যা এক মাসের বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে এমন শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ স্পার বাঁধগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা বাঁধের ওপর আশ্রয় নেয়ায় বাঁধগুলো আরও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তবে বন্যায় মানবিক কারণে তাদের সরিয়ে নেওয়াও যাচ্ছে না।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চলতি বন্যায় সিরাজগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নে ২১৬টি গ্রাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩৫ হাজার পরিবারের ১ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল রহিম বলেন, বন্যা কবলিতদের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে ২৬৭ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন বন্যার্তদের সহযোগিতায় সার্বিক পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই মধ্যে ৫ টি উপজেলায় ১৭২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

তবে বন্যা কবলিতদের অধিকাংশই আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনায় পদ্মা-যমুনায় বাড়ছে পানি

পাবনায় পদ্মা ও যমুনা নদীতে নতুন করে পানি বেড়েছে। আজ সকালে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনার পানি মথুরা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে, নতুন করে পানি বৃদ্ধির কারণে নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago