ম্যারাডোনার মতো দিবালা: প্লাতিনি
তোরিনোর বিপক্ষে ম্যাচের ৩ মিনিটে গোল পেয়েছিলেন জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালা। তাতে ফুটবল কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনিকেও ছুঁয়েছেন তিনি। সিরি আয় জুভেন্টাসের হয়ে এ কিংবদন্তির সমান ৬৮ গোল তার। মজার ব্যাপার দুইজনই ১৫৬টি ম্যাচে এ গোল করেছেন। তবে পরিসংখ্যানে মিল থাকলেও দিবালাকে নিজের মতো খেলোয়াড় মনে করেন না প্লাতিনি। তার চেয়ে আরেক কিংবদন্তি ফুটবলার দিবালার স্বদেশী দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে মিল খুঁজে পান এ ফরাসি।
১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে লিগে ৬৮টি গোল করেন প্লাতিনি। তার মতো দিবালাও পাঁচ মৌসুম হয় তুরিনের ক্লাবে খেলছেন। সমান ম্যাচে তার সমান গোল দিয়েছেন। তাতে অনেকেই প্লাতিনির সঙ্গে মিল খুঁজে বেড়াচ্ছেন দিবালার। তবে প্লাতিনি এ আর্জেন্টাইন তারকাকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক জানিয়ে ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইতালিয়ান লা গাজেত্তা দেল্লোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, '“সে প্লাতিনি নয়, সে আরও বেশি... ম্যারাডোনার মতো।'
নিজেকে কারো সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ না করলেও মজা করে দিবালাকে একটি দিকে এগিয়ে রেখেছেন প্লাতিনি, 'এ আর্জেন্টাইন মাঠে খুব ভালো এবং সে একজন তরুণ। সে একজন পছন্দসই ছেলে হিসাবে জায়গা পেয়েছে। এটা খুব মজার ব্যাপার যে, সে সিরি আতে তার গোল এবং ম্যাচ সংখ্যা জন্য আমার সঙ্গে মিলে গিয়েছে, পরিসংখ্যান একটি জিনিস তবে আমরা ভিন্ন খেলোয়াড়। আমি সবসময় তুলনা এড়ানোর চেষ্টা করি, তবে আমি বলতে পারি যে তিনি একটি বিষয়ে অবশ্যই আমার চেয়ে ভালো তা হলো সে আমার চেয়ে ৪০ বছর কম বয়সী...'
প্লাতিনির সঙ্গে দিবালার বড় পার্থক্যই পজিশনে। ফুটবল জীবনে মিডফিল্ডে খেলতেন প্লাতিনি, যেখানে দিবালা একজন ফরোয়ার্ড। এ বিষয়টিও তুলে ধরেছেন এ ফরাসি কিংবদন্তি, 'আমি যেমন ছিলাম সে তার চেয়েও অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। ও একজন ফরোয়ার্ড। যদিও তারা যেখানে খুশি তাকে সেখানে খেলতে পারে। তবে তারপরও সে একজন ফরোয়ার্ড। সে অনেক গোলও করেছে। আমি একজন মিডফিল্ডার ছিলাম যে প্রচুর গোলও করেছি। একজন দলীয় খেলোয়াড় হিসেবে দিবালার চেয়ে বেশি সবাইকে চালিত করেছিলাম। এমনটি নয় যে ও করে না, তবে সে একজন ফরোয়ার্ড।
প্লাতিনি যখন জুভেন্টাসের খেলোয়াড় ছিলেন তখন ক্লাবটির মালিক ছিলেন জিয়ান্নি অগনেল্লি। বেঁচে থাকলে দিবালার খেলা দেখে তিনি মুগ্ধ হতে বলে মনে করে প্লাতিনি, 'অ্যাভভোকাটো (জিয়ান্নি অগনেল্লি) এখন আর আমাদের সাথে নেই তাই তার কাছে যা ছিল না তা নিয়ে বলতে পারি না, তবে হ্যাঁ... যদি সে সিভোরিকে পছন্দ করে, তবে আমি মনে করি সে দিবালাকে খুব প্রশংসা করতেন।'
তবে সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে দিবালার সঙ্গে জুভেন্টাসের নতুন চুক্তি নাও হতে পারে। যদিও গত দুই মৌসুমেও তাকে বিক্রি করার গুঞ্জন ছিল। তবে এ সবকিছুকেও ফুটবল জীবনের বাস্তবতা বললেন প্লাতিনি। তবে শেষ পর্যন্ত জুভেন্টাসে থাকলে ক্লাব এবং দিবালার দুই পক্ষের জন্যই ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি, 'দিবালা গত বছর চলে যেতে পারত, এটি বাজারের নিয়ম, তবে যদি সে থাকে তবে এটা তার এবং জুভের পক্ষে ভালো।'
Comments