ঈদের পর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পের চিন্তা বিসিবির

ছবি: বিসিবি

দীর্ঘ ক্যাম্প, প্রচুর ম্যাচ খেলার ফসল হিসেবে সর্বশেষ যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালের যুব বিশ্বকাপেও শক্ত প্রস্তুতি নিয়ে সেরা দল পাঠানোর পরিকল্পনা বিসিবির। করোনাভাইরাস মহামারিতে সেই পরিকল্পনা কিছুটা ব্যাহত হলেও জুনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে মাঠে নামার চিন্তা অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে বিসিবির গেম ডেভোলাপমেন্ট কমিটি।

বুধবার গেম ডেভোলাপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের সভাপতিত্বে মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়েই অনুষ্ঠিত হয় সভা। করোনা মহামারির সময়ে এই প্রথম বিসিবির কোন কমিটি শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে সশরীরে কোন সভায় অংশ নিল।

সভা শেষে সুজন জানান,  পরবর্তী অনূর্ধ্ব-১৯ দল তৈরি করতেই জুনিয়র নির্বাচকদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তারা, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ মাত্র ১৬ মাস দূরে আছে। তো ওইটাকে মাথায় রেখে চিন্তা করে কীভাবে এগুবো তা নিয়ে কথা বলেছি, যেহেতু অনেকগুলো মাস পিছিয়ে গেছি আমরা। আমরা তো মাঠে যেতেও পারছি না, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করতে পারছি না। কথা হয়েছে যে কী করতে পারি। তো যেটা কথা হয়েছে ঈদের পর যদি দেশের পরিস্থিতি ভালো হয় এবং সরকারের অনুমতি যদি পাই, বোর্ড থেকে যদি ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। তাহলে আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পটা শুরু করতে চাই।’

সুজন জানান, আসন্ন ঈদুল আযহার পর বাছাইকৃত ক্রিকেটারদের বিকেএসপিতে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা তাদের। সেখানে নির্দিষ্ট দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পর ক্যাম্প শুরু করতে চান তারা, ‘বিকেএসপিতে ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেল পুরোটাই আমরা যদি পেয়ে যাই। তাহলে ওখানে অগাস্টের দিকে কোয়ারেন্টিন করে, পুরোটা লকডাউন করে অগাস্টের শেষ দিকে শুরু করলাম। চার সপ্তাহের একটা ট্রেনিং হবে। যেখানে আমাদের নির্বাচকরা যাবে। যেহেতু যুব ক্রিকেটে ওয়ানডে টুর্নামেন্টটা হয়নি, সেহেতু ওয়ানডে সিলেকশনটাও হয়নি। কাজেই ক্যাম্প থেকেই আমরা সিলেকশনটা করব এমন ভাবনা।’

বিশ্বকাপ জিতে আসা যুবাদের নিয়েও আলোচনা হয়েছে সভায়। এই বছর করোনার থাবায় কিছু করা না গেলেও আগামী বছর আকবর আলীদের ৬০ দিনের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠাতে চায় বিসিবি।

এছাড়া স্কুল ক্রিকেটের জোনাল চ্যাম্পিয়নদের নিয়েও একটা দীর্ঘ পরিসরের টুর্নামেন্টের চিন্তা করেছে গেম ডেভোলাপমেন্ট কমিটি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

59m ago