করোনাভাইরাস

মৃত্যু ৫ লাখ ৮৪ হাজার, আক্রান্ত ১ কোটি সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৮৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ৭৫ লাখের বেশি মানুষ।
মেক্সিকোতে নিরাপদ পোশাক পরে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ১৪ জুলাই ২০২০। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৮৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি সাড়ে ৩৫ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন সাড়ে ৭৫ লাখের বেশি মানুষ।

আজ বৃহস্পতিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার ৪৭৭ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ১২৪ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ২৫২ জন।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৭ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ৪০৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮২ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ৭৪৮ জন, মারা গেছেন ৭৫ হাজার ৩৬৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৯৮ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ১৩৮ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন নয় লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৭ জন, মারা গেছেন ২৪ হাজার ৯১৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ১২ হাজার ৭৬৮ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, পেরু, চিলিতে ও মেক্সিকোতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ৪৫ হাজার ১৯৭ জন এবং মারা গেছেন ১১ হাজার ৭৫৩ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৩৭৫ জন। পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৭ হাজার ৭৫১ জন এবং মারা গেছেন ১২ হাজার ৪১৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৪০০ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ২০৫ জন এবং মারা গেছেন সাত হাজার ১৮৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৯২ হাজার ৮৫ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ১৭ হাজার ৬৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ হাজার ৯০৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৩৬৮ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৪৯৪ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৪১৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৩ হাজার ৫০৬ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৯৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৬ হাজার ১৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৫৬৮ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ১২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৪৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৯০ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ৮০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮৬ হাজার জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ৫৬১ জন, মারা গেছেন ১৩ হাজার ৪১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ২৭ হাজার ৫৬১ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৫ হাজার ৯৪০ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৪১৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৩৩ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ হাজার ২৪৬ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৪৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার পাঁচ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন দুই হাজার ৪৫৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৫২৩ জন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago