সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জ জেলায় পুরাতন সুরমা বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অধিকাংশ নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।
তবে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পানি হ্রাস পাওয়ার এই প্রবণতা আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। যে কারণে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ভারতের আসাম, মেঘালয় অঞ্চলে আবারও সক্রিয় মৌসুমী বায়ু বিস্তারের সম্ভাবনা আছে। যে কারণে আগামী ২০ জুলাই থেকে জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বাড়তে পারে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলের কাথাও কাথাও আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এবার ২৫ জুন জেলায় প্রথম বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি নামতে না নামতেই ১০ জুলাই আবার বন্যা হয়। জেলার সবকটি উপজেলাই এখন বন্যাকবলিত।’
দোয়ারাবাজার উপজেলা দোহালিয়া ইউনিয়নের জীবননগর গ্রামের হোসনা বেগম বলেন, ‘গত দুইবারের বন্যায় সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। স্বামী-সন্তান নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছি।’
শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকার সাবের মিয়া বলেন, ‘জুনের শেষের দিকে বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করে। গত কয়েকদিন আগে আবারও একই অবস্থা হলো। অন্য কারো বাসায় গিয়ে উঠতে হবে আশ্রয়ের জন্য। এ ছাড়া, আর উপায় দেখছি না।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জে বন্যায় এক লাখ সাত হাজার ৭২৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার ১৩৩টি পরিবার রয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ৮৬৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা, এক হাজার নয় শ প্যাকেট শুকনা খাবার, দুই লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও দুই লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।’
Comments