হাসপাতাল নয়, সুনামগঞ্জে ফার্মেসিই ভরসা বানভাসি মানুষের

সুনামগঞ্জের স্থানীয় বাজারগুলোতে ফার্মেসি ও হোমিওপ্যাথির দোকানে বেড়েছে ঔষধ বিক্রির পরিমাণ। ছবি: স্টার

সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যা ও বন্যা পরবর্তী এই সময়ে ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর, দুর্বলতা, শরীর ব্যথা, চর্মরোগ ও মাথা ব্যথার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন হাওড় পাড়ের মানুষ। কিন্তু, করোনা সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালে বা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না বানভাসি মানুষ। তারা ভরসা করছেন ফার্মেসিগুলোর ওপর।

এতে করে স্থানীয় বাজারগুলোতে ফার্মেসি ও হোমিওপ্যাথির দোকানে বেড়েছে ঔষধ বিক্রির পরিমাণ।

জেলা শহরের মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা বিনয় রায় বলেন, ‘গতকাল বুধবার থেকে আমার ছেলের ডায়রিয়া, সর্দি ও কাশি। কিন্তু, সদর হাসপাতাল কাছে থাকার পরও হাসপাতালে যাচ্ছি না। ফার্মেসি থেকেই ওষুধ এনে খাওয়াচ্ছি। কারণ, হাসপাতালে গেলে যদি তাকে করোনা রোগী বলে, তাহলে বড় বিপদে পড়ে যাবো।’

তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওড়ের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের নতুন বাজারের প্রান্তিক শ্রমিক জমসেদ মিয়া বলেন, ‘জ্বরে ভুগছি। কিন্তু ডাক্তার দেখাতে গেলেই বলে করোনা পরীক্ষা করে আসেন। আবার পরীক্ষা করালে ডাক্তার বলবে করোনাভাইরাস। তাই, ঝামেলা এড়াতে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে এসেছি। ৬০ থেকে ৮০ টাকার ওষুধ খেলেই ভালো হয়ে যাব।’

নতুন বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে না গিয়ে আমাদের ফার্মেসিতে আসছে বেশির ভাগ রোগী। আর করোনাভাইরাস আসার আগে আমার ফার্মেসিতে যা ওষুধ বিক্রি করতাম, করোনা আসার পরে এবং বন্যাকালীন সময়ে বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।’

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরুর আগে রোগী নিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হতো। কিন্তু, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তবে, আগত রোগীদের গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা দিচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English
rally demanding ban on awami league in Dhaka

Blockade at Shahbagh demanding AL ban

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

5h ago