রিয়ালের শিরোপা জয়ের দিনে বার্সেলোনার হার

ছবি: এএফপি

ভালদেবেবাসে ততক্ষণে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে এগিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করেনি বার্সেলোনা। ওসাসুনার কাছে হেরে রিয়ালের শিরোপা জয়ের স্বাদ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। ঘরের মাঠে ১০ জনের দলটির বিপক্ষে পেরে ওঠেনি গত দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা।

ন্যু ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার রাতে ওসাসুনার কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারে বার্সেলোনা। জয়ী দলের হয়ে গোল দুটি করেন হোসে আরনাইজ ও রোবের্তো তোরেস। ফ্রিকিক থেকে বার্সার গোলটি পান অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

একই সময়ে নিজেদের মাঠে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাশে মেতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৭ ম্যাচে ২৬ জয় ও ৮ ড্রয়ে চ্যাম্পিয়ন দলটির সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে বার্সার পয়েন্ট ৭৯।

এদিন ম্যাচের শুরুটাই ভালো হয়নি বার্সেলোনার। ম্যাচ গোছাতে বেশ সময় নেয় দলটি। ততোক্ষণে পিছিয়েও পরে দলটি। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বার্সা গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগেনের পরীক্ষা নেন ওসাসুনার হোসে আরনাইজ। দূরপাল্লার আচমকা শটে টের স্টেগেনকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রস্তুত ছিলেন বার্সা গোলরক্ষক। পরের মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ভালো শট নিয়েছিলেন বার্সা ডিফেন্ডার ক্লেমো লংলেও। তবে তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 

১৫তম মিনিটে অসাধারণ এক গোলে এগিয়ে যায় ওসাসুনা। বাঁ প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে আরনাইজকে দারুণ এক কাটব্যাক করেন পার্ভিস এস্তুপিনান। নিখুঁত এক ভলিতে বল জালে পাঠান লেগানেস থেকে ধারে আনা এ স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ছয় মিনিট পর বার্সা শিবিরে দূরপাল্লার জোরালো শটে ফের আতংক ছড়িয়ে ছিলেন ইনিগো পেরেজ। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তার শট।

২২তম মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো বার্সা। তবে দুর্ভাগ্য তাদের মেসির নেওয়া ফ্রিকিক বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩২তম মিনিটে মেসির নেওয়া আরও একটি ফ্রিকিক বারপোস্টের সামান্য উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৯তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মেসি। এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে লক্ষ্যের দিকেই যাচ্ছিল। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ওসাসুনা গোলরক্ষক সের্জিও হেরেরা।

বিরতির পর দ্বিতীয় মিনিটেই মেসির পাসে বল জালে জড়িয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু অফসাইডে ছিলেন তিনি। ৪৮তম মিনিটে এস্তুপিনানের কোণাকোণি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে ব্যবধান বাড়াতে পারতো ওসাসুনা। ছয় মিনিট অসাধারণ শৈলী উপহার দিয়ে তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু দারুণ এক সেভ করে তাকে হতাশ করেন ওসাসুনা গোলরক্ষক হেরেরা।

তবে ৬২তম মিনিটে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। নিখুঁত এক ফ্রিকিক থেকে গোল করে আদায় করে নেন বার্সা অধিনায়ক। লিগে এটা তার ২৩তম গোল। সমতায় ফেরার পর এগিয়ে যেতে ওসাসুনাকে চেপে ধরে দলটি। একের পর এক আক্রমণ করে তারা। ৬৭তম মিনিটে মেসির পাস থেকে ফের বল জালে পাঠিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু এ ফরোয়ার্ড অফসাইড পজিশনে থাকায় বাতিল হয় সে গোল। 

তার উপর ৭৭তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ওসাসুনা। লংলেকে ইচ্ছাকৃত আঘাত করায় ভিএআর দেখে এনরিক গায়েগোকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। কিন্তু সে সুবিধা আদায় করতে পারেনি দলটি। নিজেদের পায়ে বল রেখে আক্রমণ চালায় তারা। কিন্তু জালের দেখা পায়নি। উল্টো ম্যাচের যোগ করা সময়ে সের্জিও বুসকেতসের ভুলে গোল খায় বার্সা। মাঝ মাঠে বুসকেতস বল হারালে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ক্যাটব্যাক করেন কিকে বারিয়া। জোরালো শটে বল জালে জড়ান তোরেস।

তবে মিনিটে সমতায় ফিরতে পারতো বার্সা। মেসির পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সুয়ারেজ। ভালো শটও নিয়েছিলেন এ উরুগুইয়ান। তবে তার শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে দলটির। ফলে শেষ পর্যন্ত হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

Comments

The Daily Star  | English

Muslim pilgrims pray at Mount Arafat in hajj apex

Thousands of pilgrims began to gather before dawn around the hill and the surrounding plain

1h ago