সদরঘাট থেকে নব্য জেএমবি’র নারী সদস্য গ্রেপ্তার

জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি’র এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। আজ শুক্রবার সিটিটিসি’র সহকারী কমিশনার এসকে ইমরান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি’র এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। আজ শুক্রবার সিটিটিসি’র সহকারী কমিশনার এসকে ইমরান হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী ওই নারীর কাছে ভারতীয় পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ধনিয়াখালী থানার কেশবপুর গ্রামে।’

ইমরান হোসেন আরও বলেন, ‘তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি সনাতন ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেন। অনলাইনে ধর্ম সংক্রান্ত পড়ালেখা করতে করতে নব্য জেএমবি’র নারী শাখার প্রধান আসমানী খাতুন ওরফে আসমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তিনি নব্য জেএমবি’র সদস্য হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আসা-যাওয়া করছেন। তার দায়িত্ব হলো বিভিন্ন দেশ ঘুরে সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা। জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাল জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে এ দেশের নাগরিক প্রমাণ করে তিনি বাংলাদেশে বিয়ে করেন। তার স্বামী ওমান প্রবাসী। স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী, গত বছরের ১০ আগস্ট থেকে তিনি বাংলাদেশে বসবাস করছেন।’

‘ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মাদরাসায় তিনি শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। এর আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করতেন। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি সিটিটিসি আসমানী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে। এরপরে তিনি মাদরাসার চাকরি ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেন। গত কয়েক মাসে জঙ্গি সংগঠনের যোগ দেওয়া সদস্যদের তিনি প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তার সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছি’— বলেন ইমরান হোসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago