হাসপাতালে সুস্থ আছেন ঐশ্বরিয়া ও আরাধ্য

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বচ্চন পরিবারের চার সদস্য — অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও আরাধ্য বচ্চন সুস্থ রয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে।

শনিবার হাসপাতালের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, বচ্চন পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। তারা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। প্রত্যেকেই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন। অমিতাভ ও অভিষেক আরও দু-একদিন হাসপাতালে থাকবেন।

কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর মুম্বাইয়ের বাড়িতেই আইসোলেশনে ছিলেন ৪৬ বছর বয়সী সাবেক বিশ্ব সুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও তার আট বছরের মেয়ে আরাধ্য। শুক্রবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি হন তারা।

বচ্চন পরিবারের সদস্যরা যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেই নানাবতী হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ঐশ্বরিয়ার কাশি ছিল। তবে তিনি এখন ঠিক আছেন।

আইসোলেশনে থাকলেও টুইটারে সক্রিয় আছেন বিগ বি। ৭৭ বছর বয়সী এই বলিউড সুপারস্টার শুরু থেকেই নিজের ও পরিবারের শারীরিক অবস্থার কথা টুইটে জানিয়ে আসছেন। গত সপ্তাহের শুরুতে করোনা শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসাকর্মীদের প্রশংসা করে টুইট করেন তিনি। পরে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যেও টুইট করেন বিগ বি।

শুক্রবার রাতে এক টুইটে অমিতাভ বলেন, ‘সুখের সময় বা কঠিন সময়- আমাদের কাছের পরিজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্তরা সবসময়ই ভালোবাসা, স্নেহ ও প্রার্থনায় ভরিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের এই প্রটোকল ও বিধিনিষেধের মধ্যে আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

গত সপ্তাহের শেষে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের পর হাসপাতালে ভর্তি হন অমিতাভ ও অভিষেক বচ্চন। দু’দিন পর অভিষেক বচ্চন টুইট করে জানান যে স্ত্রী ঐশ্বরিয়া ও মেয়ে আরাধ্যও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

তবে জয়া বচ্চন ও অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা নন্দার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে।

এনডিটিভি জানায়, বচ্চন পরিবার ছাড়াও বলিউডের অন্যান্য তারকাদের বাড়িতেও করোনা আতঙ্ক দেখা গেছে। অভিনেত্রী রেখার বাড়ির এক নিরাপত্তা কর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া আমির খান, করণ জোহর ও বনি কাপুরের বাড়ির কর্মীদের কয়েক জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP hosts discussion on first anniversary of July uprising

Leaders recall sacrifices, call for unity at Dhaka gathering

46m ago