সুনামগঞ্জে এখনো পানিবন্দি ২৩২৪ পরিবার
দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সুনামগঞ্জের হাওড়পাড়ের সাধারণ মানুষ। সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমে এসেছে। তবে জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখনো জেলায় পানিবন্দি দুই হাজার ৩২৪ পরিবার ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ আট হাজার ১২৯ পরিবার।
এছাড়াও বন্যায় এক হাজার ৪৮৯ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মল্লিকপুরের সাহেদ মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের বন্যায় আমার বাড়ির গোলায় রাখা বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিজে কিছু ধান নষ্ট হয়ে গেছে।’
একই এলাকার কৃষক মহিদুর রহমান বলেন, ‘ঘরের বেড়া ভেঙ্গে গেছে পানির স্রোতে। থাকার জায়গা নাই। তাই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। ঘরের ভিতর কয়েকদিন পর্যন্ত পানি থাকায় কাঠের খাট ও চেয়ার নষ্ট হয়ে গেছে। বিছানাপত্রও পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর বিছানায় ঘুমানো সুযোগ নেই। সামর্থ্যও নেই নতুন কেনার। কিছু করি আর না করি, প্রথমে ঘরটা থাকার যোগ্য করতে হবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জহিরুল আলম বলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৮৬৫ মেট্রিক টন চাল, ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, তিন হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, দুই লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও দুই লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ‘সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পুরাতন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
Comments