এক লাখ টাকার জাল নোট সাত হাজার টাকায়

এক লাখ টাকার জাল নোট তারা বিক্রি করেছে সাত হাজার টাকায়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পেয়ে গেছে জামিনও। জামিনে বের হয়েই তারা ঈদুল আযহায়, বিশেষত গবাদি পশুর হাটে, জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
উদ্ধারকৃত মালামালসহ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মো. সাইফুল, মো. রুবেল ও আলম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

এক লাখ টাকার জাল নোট তারা বিক্রি করেছে সাত হাজার টাকায়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পেয়ে গেছে জামিনও। জামিনে বের হয়েই তারা ঈদুল আযহায়, বিশেষত গবাদি পশুর হাটে, জাল নোট ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) দাবি করেছে, গতকাল শনিবার রাতে তারা আন্তজেলা নোট জালিয়াতি চক্রের সম্পর্কে খবর পেয়ে একটি গ্যাংয়ের লিডারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডিবির লালবাগ ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার রাজিব আল মাসুদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গ্যাং লিডার মো. সাইফুল (৩২) এবং তার দুই সহযোগী মো. রুবেল (২৮) ও আলম হোসেন (২৮)।

তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ প্রায় ৩৫ লাখ টাকার জাল নোট, জাল নোট তৈরির মেশিন, একটি ল্যাপটপ, একটি লেমিনেটিং মেশিন ও রঙ উদ্ধার করেছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল আলম হোসেনকে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে তিন লাখ টাকার জাল নোটসহ প্রথমে গ্রেপ্তার করে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন রাজিব আল মাসুদ।

জিজ্ঞাসাবাদে আলম হোসেন গোয়েন্দাদের জানান, তাদের গ্যাং লিডার সাইফুল ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে জাল নোট তৈরি করছেন।

এই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাইফুল ও রুবেলকে ৩২ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাইফুলকে আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাজিব আল মাসুদ বলেন, ‘আমরা জানতে পারি যে হাবিব মোল্লা, জীবন, মুজিবর ও রানা নামের এই চারজনের দলটি বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের আমরা আগেও গ্রেপ্তার করেছিলাম, কিন্তু তারা জামিন পেয়ে আবারও একই কাজ করতে শুরু করেছে।’

তাদের বিরুদ্ধে বংশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগীদের খুঁজে বের করার জন্য এবং জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য তাদের রিমান্ডে রাখব।’

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank to rescue problem banks

The Bangladesh Bank is set to rescue problem banks including some Shariah-based banks controlled by S Alam Group by managing liquidity or merging a few.

4h ago