মাঠে দৌড়ানোর অনুভূতিই আলাদা খালেদ-নাসুমের

মাঠে এসে ঘন্টাখানেক দৌড়ানোর অনুভূতিকেই একদম আলাদা করে রাখলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।
Syed Khaled Ahmed & Nasum Ahmed
ছবি: শেখ নাসির

ঢাকার বাইরের হওয়ায় ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য খোলামেলা জায়গার কোনো ঘাটতি নেই সিলেটের ক্রিকেটারদের। করোনাভাইরাসের মহামারির থমকে যাওয়া সময়টা ঘরবন্দি কাটলেও একটা পর্যায়ে গিয়ে বাড়ির আশেপাশে তারা বেরুতে পেরেছেন, ফিটনেস ঠিক রাখার কাজ চলেছে পুরোদমেই। তবে মাঠে এসে ঘন্টাখানেক দৌড়ানোর অনুভূতিকেই একদম আলাদা করে রাখলেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।

বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রস্তুত ছিল। সিলেটে থাকা জাতীয় ক্রিকেটাররা কেউ চাইলে মাঠে এসে অনুশীলন করতে পারেন, এমন অবস্থান জানিয়ে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে অনেকদিন পর এই মাঠে পা পড়েছে দুই ক্রিকেটারের। বিসিবির অনুমতি নিয়ে অনুশীলন চালিয়েছেন পেসার খালেদ ও স্পিনার নাসুম।

রোববার সকাল ঠিক ৯টায় মাঠে আসেন খালেদ। এসেই সিলেট বিভাগীয় দলের কোচ এ.কে.এম মাহমুদ ইমনের তত্ত্বাধবায়নে চালিয়েছেন রানিং।

এক ঘণ্টার অনুশীলন শেষে হতেই মাঠ ছেড়ে চলে যান তিনি। এক ঘণ্টা বিরতির পর বেলা ১১টায় মাঠে প্রবেশ করেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। প্রথম দিন তার অনুশীলনও সীমাবদ্ধ ছিল রানিংয়ে। ইমনের সহযোগিতায় স্ট্রেচিং, রানিং সেরেছেন তিনি।

রানিং এর বাইরে জিম ব্যবহার করতে পারবেন তারা। কিন্তু চাইলেও বোলিং করার সুযোগ মিলছে না। কারণ এখনো প্রস্তুত হয়নি অনুশীলন উইকেট। বিসিবি থেকেও স্কিল ট্রেনিং করার সায় দেওয়া হয়নি।

এই কদিন বাড়িতেই রানিং, জিম আর সীমিত আকারে বোলিং চালাচ্ছিলেন পেসার খালেদ। মাঠে এসে করতে পেরেছেন কেবল রানিং। তবে বাড়ির এতসব অনুশীলন থেকে সামান্য সময় মাঠে দৌড়ানো যে একদম আলাদা, দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন তা, ‘এতদিন বাড়িতে জিম, রানিং এসব করছিলাম। আজ অনেকদিন পর মাঠে গেলাম। মাঠে কেবল রানিং করেছি। তবে মাঠ তো মাঠই। মাঠে গিয়ে দৌড়ানোর অনুভূতিই আলাদা।’

নাসুমও বলেছেন, মাঠে গিয়ে সামান্য সময়ের অনুশীলনই তাকে দিচ্ছে বাড়তি স্বস্তি। বাড়িতে বসে যত যা-ই করুন না কেন, মাঠের আবহ দেখা, ঘাস স্পর্শ করা পেশাদার ক্রিকেটারকে দেয় ফুরফুরে ভাব।

এই দুই ক্রিকেটারের অনুশীলন দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সাংবাদিকদের। তবে স্বাভাবিক কারণেই ছিল স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। মূল ফটকের প্রবেশমুখে স্যানেটাইজ করার ব্যবস্থা ছিল। তবে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়নি। নিয়মিত মিডিয়া বক্সে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। হসপিটালিটি বক্সের পাশে পুরনো প্রেসবক্সে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা হয়।

অনুশীলনে ছবি ও ভিডিও করা গেলেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে আপাতত সরাসরি কথা বলার ব্যবস্থা রাখেনি বিসিবি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগের অনুশীলন হলেও বিসিবি বেঁধে দিয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত এই গাইডলাইন মেনেই মাঠে এসে কাজ করবেন খালেদ ও নাসুম।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago