দেশে করোনা সংক্রমণের প্রধান ভাইরাস স্ট্রেইন শনাক্ত

Coronavirus-1.jpg
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিজ্ঞানীরা গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২২২টি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছেন। এসব তথ্য-উপাত্ত ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) ও গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি)-তে প্রকাশ করা হয়েছে।

এর মধ্যে, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সেলিম খানের নেতৃত্বে একদল গবেষক ১৭৩টি করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেছেন।

প্রধান ভাইরাস স্ট্রেইন শনাক্ত

বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস তার জিনেমিক লেভেলে ৫৯০টি ও প্রোটিন লেভেলে ২৭৩টিরও অধিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে `D614G' করোনাভাইরাস স্ট্রেইনটি সিকোয়েন্সিংয়ে শনাক্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশে সংক্রমণের প্রধান কারণ।

এই গবেষণালব্ধ ফল শিগগিরই স্বীকৃতি পিয়ার রিভিউড জার্নালে প্রকাশ করা হবে জানানো হয়েছে।

নমুনায় অন্যান্য প্যাথোজেনের উপস্থিতি শনাক্ত

বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের পাশাপাশি কোভিড-১৯ রোগীর নমুনায় সহাবস্থায় অন্যান্য আরও প্যাথোজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। এখন তারা জীবাণুগুলোর উপস্থিতিতে সংক্রমণের তীব্রতার সম্ভাব্য যোগসূত্র নির্ধারণের ব্যাপারে গবেষণা চালাচ্ছেন।

মাল্টি-ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট জিনের উপস্থিতি শনাক্ত

এ ছাড়াও, বিসিএসআইআর’র বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ রোগীর নমুনায় অন্যান্য মাল্টি-ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট জিনের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। এসব তথ্য-উপাত্তও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা নিবন্ধ আকারে প্রকাশিত হবে এবং দেশের অন্যান্য গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স ডেটার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে ৭৮টি ভ্যাকসিন প্রকল্প চালু করা হয়েছে এবং আরও ৩৭টি নতুন ভ্যাকসিন প্রকল্প বিকাশমান আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

9h ago