১০ ম্যাচে পর পয়েন্ট খোয়াল চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
শিরোপা জয় আগের রাউন্ডেই নিশ্চিত। ম্যাচটি ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। তাই শেষ ম্যাচে হয়তো একটু আয়েশি ঢঙেই ছিল চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে অবনমন হয়ে যাওয়া লেগানেসের বিপক্ষে পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছে তাদের। অথচ করোনাভাইরাস বিরতির পর টানা জয়ের ধারায় ছিল দলটি। ১০ ম্যাচ টানা জয়ের পর লেগানেসের মাঠে এদিন ২-২ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।
রিয়ালের জন্য আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচ হলেও লেগানেসের জন্য ছিল জীবন মরণ লড়াই। অবনমন এড়াতে হলে জিততেই হতো তাদের। লড়াইটাও ভালো করেছে চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ড্র করতে পেরেছে, তারপরও অবনমন নিশ্চিত হয়ে যায় দলটির। ফলে আগামী মৌসুমে সেগুন্দা ডিভিশনে খেলতে হবে তাদের।
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে খেলা শেষ ম্যাচের একাদশ থেকে এদিন সাত পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে রিয়াল। গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া থেকে শুরু করে টনি ক্রুস, লুকা মদ্রিচ, দানি কারবাহাল, রাফায়েল ভারানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা ছিলেন বেঞ্চে। তব সব আকর্ষণ ছিল করিম বেনজেমার উপর। কারণ মেসির টানা চতুর্থ পিচিচি জয়ের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন কোনো গোলই পাননি এ ফরাসি তারকা।
সেরা তারকাদের ছাড়া ম্যাচের নবম মিনিটেই দারুণ এক হেডে দলকে এগিয়ে দেন রিয়াল অধিনায়ক সের্জিও রামোস। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত সে গোলে এগিয়ে ছিল তারা। তবে যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে লেগানেস। জোনাথন সিলভার পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রায়ান গিল।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় রিয়াল। এবার ইসকোর পাস থেকে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করে আসেনসিও। গোল খেয়ে তা শোধ করতে মরিয়া হয়ে খেলে লেগানেস। ৭৮তম মিনিটে গোলের দেখাও পায় তারা। রজার আসালের গোলে ম্যাচে ফেরে দলটি। তবে এরপর আর জালের দেখা না পেলে অবনমন নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
এ ড্রয়ে করোনাভাইরাস বিরতির পর টানা ১০ ম্যাচ পয়েন্ট খোয়ানো রিয়ালের সংগ্রহ ৮৭ পয়েন্ট। আলাভেসের মাঠে ৫-০ গোলে জেতা বার্সেলোনা ৮২ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছে। অবনমন হওয়া লেগানেসের সংগ্রহ ৩৬। তাদের সঙ্গে অবনমন হয়েছে মায়োর্কা ও এস্পানিওলও।
Comments