প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
চাঁদপুরের কচুয়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশিরসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী নূরে আলম।
রোববার রাতে কচুয়া থানায় করা মামলাটিতে তিন জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, মামলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১৯ জুলাই দুপুরে কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঢুকে উপসহকারী প্রকৌশলী নূরে আলমকে মারধর, হুমকি ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এ ব্যাপারে উপসহকারী প্রকৌশলী নূরে আলম বলেন, চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে কচুয়া উপজেলা সদরে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ এর একটি ছয় তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ইতিমধ্যে এক তলার ছাদ ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার নতুন করে পাথর এনেছেন ভবনের কাজের জন্য। ওই পাথরগুলোর বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে পাথর যাচাই করতে আমি সেখানে যাই। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির হঠাৎ সেখানে এসে অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার লোকজন দিয়ে আমাকে মারধর করে। এ সময় ওই কাজ পরিদর্শনে আসেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ। আহত অবস্থায় চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাদের নির্দেশ আমি থানায় মামলা করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির বলেন, যেটা হয়েছে সেটা প্রকৌশলী নূরে আলমের খামখেয়ালী ও অনিয়মের কারণে হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপায়ন দাস শুভ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি আমরা সামনেই ঘটেছে। আমি বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ, জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এর আগে কচুয়া শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় তলা ভবনের নির্মাণ কাজের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সে ব্যাপারেও আমি কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু তা না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটল।
চাঁদপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফাহিম ইকবাল বলেন, উপসহকারী প্রকৌশলী নুরে আলম আমাকে ফোনে হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। তাৎক্ষনিক আমি ইউএনওর মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
কচুয়া থানার ওসি ওয়ালি উল্লাহ অলি বলেন, আমরা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Comments