লাৎসিওর বিপক্ষে ম্যাচে যত কীর্তি গড়লেন রোনালদো
দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দেখিয়ে লাৎসিওর বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ইতালিয়ান সিরি আতে জুভেন্টাসকে জয়ে ফেরানোর পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলি আরও সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার সামনে রয়েছে নতুন একটি রেকর্ড গড়ার হাতছানি।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে লাৎসিওর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে জুভরা। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে স্পট-কিক থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছেন পর্তুগিজ তারকা রোনালদো। করোনাভাইরাসের অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতি শেষে লিগ ফের চালু হওয়ার পর আট ম্যাচে নয়বার জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন তিনি।
প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরি আতে ৫০ গোল
ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইতালিয়ান সিরি আতে গোলের হাফসেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন রোনালদো। লাৎসিওর বিপক্ষে প্রথম গোলটি ছিল ইতালির শীর্ষ লিগে তার ৫০তম লক্ষ্যভেদ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে ছয় মৌসুমে ৮৪ গোল করেছিলেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা লা লিগায় নিশানা ভেদ করেছিলেন ৩১১ বার। জুভেন্টাসের হয়ে দ্বিতীয় মৌসুম কাটাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে সিরি আতে তার গোলসংখ্যা ৫১টি।
জুভেন্টাসের হয়ে মৌসুমে ৩০ গোল
তুরিনের বুড়িদের হয়ে লিগে কমপক্ষে ৩০ গোল করা মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হয়েছেন রোনালদো। ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩১ গোল করেছিলেন ইতালিয়ান স্ট্রাইকার ফেলিস বোরেল। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ড্যানিশ ফরোয়ার্ড জন হ্যানসেন জালের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছিলেন ৩০ বার।
সিরি আর চলতি মৌসুমে আরও চারটি ম্যাচ বাকি আছে জুভেন্টাসের। অর্থাৎ বোরেলকে টপকে রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী সিআর সেভেন।
২৫ বছরের মধ্যে সিরি আতে দ্রুততম ৫০ গোল
২০১৮ বিশ্বকাপের পর রিয়াল ছেড়ে ইতালিতে পাড়ি জমানোর পর সিরি আতে ৫০ গোল করতে রোনালদোকে খেলতে হয়েছে মাত্র ৬১ ম্যাচ। গেল ২৫ বছরে (১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে) এত কম ম্যাচ খেলে ইতালিয়ান লিগে কেউ গোলের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করতে পারেননি।
এসি মিলান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে শেভচেঙ্কোর ৫০ গোল করতে লেগেছিল ৬৮ ম্যাচ। ইন্টার মিলানের হয়ে দ্য ফেনোমেনন রোনালদোর ৭০ ম্যাচে পেয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরি। জুভেন্টাসের ডেভিড ত্রেজেগে ও ইন্টারের দিয়েগো মিলিতো- দুইজনেরই লেগেছিল ৭৮ ম্যাচ।
Comments