রাজধানীতে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী ওয়াসা: মেয়র তাপস
রাজধানী ঢাকায় গতকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা গোড়ালি থেকে হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার আগ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বর্ষায় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। আরও দুই-তিন দিন এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।’
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। শহরের রাস্তাঘাট জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। ত্রুটিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে দ্বিগুণ হারে।
রাজধানীর রাজারবাগ, কাকরাইল, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, কারওয়ানবাজার, তেজকুনিপাড়া, গ্রিনরোড, বেগম রোকেয়া সরণি আর নিচু এলাকাগুলো বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। রাস্তা ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গণপরিবহনের ঘাটতি। যাত্রীরা পৌঁছাতে পারছেন না গন্তব্যে।
আজ দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জনগণের দুর্ভোগ দেখতে এবং জলাবদ্ধতা হ্রাস করার বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে তিনি রোকেয়া সরণিতে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা আছে। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও, তারা পানি নিষ্কাশনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।’
‘এ সমস্যার সমাধানে কয়েক দিনের মধ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে একটি বৈঠক করব’, যোগ করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাজধানীতে জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী ওয়াসা। পানি নিষ্কাশনই তাদের মূল কাজ। তবে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ করার অনুমোদন দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি ওয়াসা এই আইন অনুযায়ী আমাদের এ বিষয়ে কাজ করতে বলে, তবে আমরা অবশ্যই যথাযথ ও কার্যকর পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতাকে মোকাবিলা করব। এ ছাড়া, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্পিং মেশিন আছে। কিন্তু, তারা সেগুলো ব্যবহার করছে না।’
তাপস বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
Comments