টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যা, গ্রেপ্তার সাগরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

Sagar.jpg
গ্রেপ্তার সাগর আলী। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মাস্টার পাড়ায় একই পরিবারের চার জনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাগর আলী (২৬) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকালে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম সাগর জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ দুপুরে মধুপুর থানার পুলিশ সাগরকে আদালতে উপস্থাপন করে।

গত ১৭ জুলাই সকাল ৯টার দিকে মধুপুর পৌর এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ রোডের মাস্টার পাড়ার একটি বাড়ি থেকে মো. গনি মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী তাজিরন (৩৭), তাদের ছেলে তাজেল (১৪) ও মেয়ে সাদিয়ার (৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গনি মিয়ার বড় মেয়ে সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে সেদিন রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপর, গত রোববার র‌্যাব-১২ এর একটি দল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাগর আলীকে তার নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়ি থেকে আটক করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং লুট করা মালামাল উদ্ধার করে।

পরে, সোমবার সকালে র‌্যাব সাগরকে মধুপুর থানায় হস্তান্তর করে।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিক কামাল (ওসি) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সাগর গ্রেপ্তার হবার আগে মধুপুর পুলিশের একটি দল এ ঘটনায় জড়িত সাগরের সহযোগী জোয়াদ আলীকে (৩০) ব্রাহ্মণবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোয়াদ পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি।

তিনি জানান, সোমবার জোয়াদের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে, আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আরও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৪ জন হত্যা, মূল হোতা গ্রেপ্তার

Comments

The Daily Star  | English

Private airlines caught in a bind

Bangladesh’s private airline industry is struggling to stay afloat, hobbled by soaring fuel prices, punitive surcharges, and what operators describe as unfavourable policies. Of the 10 private carriers that have entered the market over the past three decades, only two -- US-Bangla Airlines and A

8h ago