করোনা ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া
চূড়ান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হওয়া মাত্রই করোনা ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জাকার্তা গ্লোব জানায়, চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল বর্তমানে ব্রাজিলে পরিচালিত হচ্ছে।
ভ্যাকসিনটির এই ট্রায়ালে ইন্দোনেশিয়ার ১ হাজার ৬২০ স্বেচ্ছাসেবক যুক্ত হতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
গতকাল বুধবার তিনি জানান, ভ্যাকসিনটি চূড়ান্ত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফল হওয়া মাত্রই ১০ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান বায়ো ফার্মা।
এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা ১ হাজার ৬২০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে যাচ্ছি। ট্রায়ালের প্রক্রিয়া ও প্রোটোকল বিপিওএম (ড্রাগ অ্যান্ড ফুড কন্ট্রোল এজেন্সি) নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরিচালনা করবে। যদি এটি কার্যকর হয় তাহলে তা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বায়ো ফার্মার ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে বায়ো ফার্মা জানায়, আগামী ৩ আগস্ট থেকে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করে দেখতে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের কাছ থেকে ২ হাজার ৪০০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে।
বায়ো ফার্মার পরিচালক হনেস্তি বশির প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানান, ‘যদি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সুষ্ঠুভাবে চলে, তবে বায়ো ফার্মা ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই উত্পাদন শুরু করবে। আমাদের সর্বোচ্চ ২৫ কোটি ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতা আছে।’
প্রাথমিক ধাপে প্রতিষ্ঠানটি চার কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে বলে জানান তিনি।
মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরুর আগে বায়ো ফার্মার নিজস্ব ল্যাবে সেটি যাচাই করা হবে।
বায়ো ফার্মা আরও জানায়, পশ্চিম জাভার বান্দুংয়ের পাজারজান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদে ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী ১ হাজার ৬২০ স্বেচ্ছাসেবক নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণের পর ট্রায়ালে অংশ নেবেন বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
Comments