পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ ইমরান তাহির

imran tahir
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ সফলতা উপভোগ করেছেন ইমরান তাহির। এই বর্ষীয়ান লেগ স্পিনার পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। কিন্তু একটি আক্ষেপ এখনও গেঁথে আছে তার অন্তরে। জন্মভূমি পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ যে পাননি তিনি!

১৯৭৯ সালে লাহোরে জন্ম হয়েছিল তাহিরের। বেড়ে ওঠা সেখানেই। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটপাগল এই ঘূর্ণি বোলার জায়গা করে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। খেলেছেন ‘এ’ দলের হয়েও। কিন্তু জাতীয় দলে ঢোকার দরজা খুঁজে পাওয়া হয়নি তার।

সেই হতাশার গল্প ক্রীড়া বিষয়ক পাকিস্তানি টিভি চ্যানেল জিও সুপারের কাছে করেছেন ৪১ বছর বয়সী তাহির, ‘আমি নিয়মিত লাহোরে ক্রিকেট খেলতাম এবং আমার আজকের অবস্থানের পেছনে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমি (ক্যারিয়ারের) অধিকাংশ সময়ে পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলেছি। কিন্তু এখানে (জাতীয় দলে খেলার) সুযোগ পাইনি। সেকারণে আমি হতাশ।’

ভাগ্য বদলের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান তাহির। ফলও মেলে তাতে। প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে চড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরগুলোতে রঙ ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।

খেলোয়াড়ি জীবনের বাঁক বদলে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় স্ত্রী সুমাইয়া দিলদারকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তাহির, ‘পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমার মঙ্গল করেছেন। আর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার পেছনে বেশিরভাগ কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর প্রাপ্য।’

২০১১ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন তাহির। দিল্লিতে ১০ ওভারে ৪১ রান খরচায় নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এরপর কেবলই সামনে এগিয়ে চলা। ওই বছরের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট এবং ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের স্বাদ নেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এখন পর্যন্ত ২০ টেস্ট, ১০৭ ওয়ানডে ও ৩৮ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তাহির। ২০১৫ সালের পর সাদা পোশাকে আর খেলেননি তিনি। ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর বিদায় জানান ওয়ানডেকেও। সেসময় আরও কিছুদিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda urges unity, quick action to institutionalise democracy

She also demanded a comprehensive list of victims of abduction, murder, and extrajudicial killings

9m ago