পাবনার নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, ২ উপজেলায় ভাঙন

পদ্মা, যমুনায় পানি বেড়ে পাবনার নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। ছবিটি সুজানগর উপজেলা থেকে তোলা। ছবি: স্টার

পদ্মা, যমুনায় পানি বেড়ে পাবনার পাঁচটি উপজেলার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে সুজানগর ও বেড়া উপজেলায়। তবে সরকারিভাবে পাবনাকে এখনো বন্যাকবলিত জেলা হিসেবে ঘোষণা না করায় ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। 

পাবনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়লেও এখনো বাঁধের ভেতরে পানি প্রবেশ না করায় পাবনাকে বন্যাকবলিত জেলা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার চরম ঝুঁকিতে আছে পাবনা। 

ত্রাণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, পাবনায় এখনো বন্যার ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়নি।

তবে জেলার ১ লাখ ৯০ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভি জি এফ কার্যক্রম শুরু হয়েছে । ভি জি এফ কার্যক্রম চালানোর সময় পানিবন্দি এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, যমুনার পানি

বিপৎসীমার ওপরে উঠলেও পদ্মার পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। ফলে বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়লেও বাঁধের ভেতরের এলাকাগুলোতে এখনো বন্যার পানি ঢোকেনি। 

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিক জানান চারটি ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার পরিবারের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার ত্রাণ কার্যক্রম এখনো শুরু না হলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলি জানান, উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার চরের মানুষ। 

এদিকে, সুজানগর ও বেড়া উপজেলার ১৪ টি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ। 

সুজানগর উপজেলার গুপিনপুর, বরখাপুর, রাইপুর, গুলচান্দপুর, হাটমালিফা এবং খলিলপুর এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। একই সাথে বেড়া উপজেলার নলখুলা, ঘোপসিলন্দা, মধুপুর, মুনসিগঞ্জ, পাইকান্দি, পেচাকোলা এলাকায়ও ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। 

যমুনা নদিতে পানি বৃদ্ধির ফলে বরাল নদীতেও পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান চলনবিলের চাটমোহর, ভাংগুরা এবং ফরিদপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Govt to scale back foreign loan reliance

The government plans to scale back its dependence on foreign loans as it seeks to mitigate threats to external debt sustainability.

12h ago