বাংলাদেশি দূতাবাসে হাসিমুখে সেবা দেওয়ার নির্দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ছবি: ইউএনবি থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের সব বৈদেশিক দূতাবাসে হাসিমুখে সেবা দিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

সম্প্রতি ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ মিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী যেন সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার না করেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন ড. মোমেন।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের কর্তব্যে অবহেলা, সেবা দিতে অনীহা এবং অসৌজন্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ সময় বাংলাদেশের সব দূতাবাসে সেবার গুণগত মান বাড়ানোরও নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি মিশনগুলোতে চালুকৃত হটলাইনগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু রাখাসহ সেবাগ্রহীতাদের সমস্যা ও অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্দেশ দেন।

মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফোন ধরেন না বা সেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন— এ ধরনের অভিযোগ যাতে না আসে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে মিশন প্রধানদের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ ছাড়া, সভায় তিনি করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান বাজার সংরক্ষণের পাশাপাশি নতুন বাজার অনুসন্ধানের জন্য ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

এ সময় ড. মোমেন নতুন শ্রমবাজার খোঁজার জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি অনুরোধ করেন।

তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ স্ব স্ব দেশের সরকার ও প্রবাসীদের অবহিত করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।

এ ভার্চুয়াল সভায় যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, বেলজিয়াম, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago