ভ্যাকসিন কিনতে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে চীন

vaccine.jpg
চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনতে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশগুলোকে একশ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন।

সিএনএন জানিয়েছে, লাতিন আমেরিকার বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে ভার্চুয়াল সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীনে তৈরি করা ভ্যাকসিনটি সবার উপকারে আসবে বলে জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই অঞ্চলের মানুষ যাতে ভ্যাকসিন পায় এজন্য ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে চীন।’

গত বুধবার ওই ভার্চুয়াল বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন মেক্সিকোর পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী মার্সেলো ইবার্ড ও ওয়াং ইয়ি। এ ছাড়াও, আর্জেন্টিনা, বার্বাডোস, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, কিউবা, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, পানামা, পেরু, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো এবং উরুগুয়ের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দেন।

ওই ঘোষণার পরে আজ বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে চীনকে ধন্যবাদ জানান মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর।

তিনি বলেন, ‘আমরা চীন, চীনা প্রেসিডেন্ট ও সরকারের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আপনাদের মনে আছে, আমি তার (চীনা প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন আমরা তার কাছে চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য সহায়তা চাই। এরপরই সাহায্য নিয়ে চীন থেকে অনেকগুলো বিমান এসেছে। এখানে সবসময় পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও ওষুধের সরবরাহ ছিল। এখন এই প্রস্তাব এসেছে।’

বুধবার ওই বৈঠকের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক ব্রিফিংয়ে জানান, মহামারি চলাকালে ‘চীনের সঙ্গে এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোর মধ্যকার সমুদ্রের কারণে ভৌগোলিক দূরত্ব থাকলেও, সাধারণ শত্রু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তারা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে। সকল মানুষের উপকারে ব্যবহারিক ও কার্যকর সহযোগিতা পরিচালনা করেছে।’

মে মাসের শেষদিকে বিশ্বব্যাপী মহামারির কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে লাতিন আমেরিকা।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় ব্রাজিল।

পেরু, চিলি ও মেক্সিকো তালিকায় শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে আছে। ভেনিজুয়েলায় ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এতে দেশটির ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এদিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের পাশাপাশি চীনা বায়োটেক সংস্থা সিনোভাকের ভ্যাকসিনটিরও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।

Comments