বিএসএমএমইউতে নকল মাস্ক সরবরাহকারী শারমিন জাহান গ্রেপ্তার

arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষের দায়ের করা নকল মাস্ক সরবরাহ মামলার প্রধান আসামি শারমিন জাহানকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।

আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, শারমিন জাহান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক। তার কাছে ১১ হাাজার মাস্কের অর্ডার দেওয়া হয়েছি। তিনি  ৪ লটে ৩ হাজার ৪৬০ মাস্ত সরবরাহ করেন। প্রথম দুই লটে ১ হাজার ৭৬০ ও পরের দুই লটে ১ হাজার ৭০০ মাস্ক সরবরাহ করেন। প্রথম দুই লটের মাস্ক ভালো পেলেও। পরের দুই লটে মাস্ক খারাপ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গতকাল শাহবাগ থানায় জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়। আজ সেই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হলেন।

সূত্র জানায়, শারমিন জাহান ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষার্থী থাকাকালীনও ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সূত্র আরও জানায়, শারমিন জাহান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির মহিলা ও শিশু বিষয়ক সদস্য।

তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত আছেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী, তার বাসভবনের ঠিকানা ঢাবির আবাসিক অঞ্চলের আনোয়ার পাশা ভবনের ২০৩ নম্বর হোল্ডিং উল্লেখ করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে ঢাবির রেজিস্ট্রার এনামুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী হিসেবেই জানি। তিনি পিএইচডি করতে ছুটিতে ছিলেন।’

‘সম্প্রতি তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং কাজে যোগদানের আবেদনপত্র জমা দেন,’ বলেন এনামুজ্জামান।

শারমিন জাহানের প্রতিষ্ঠান এবং মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুজ্জামান বলেন, ‘তার প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো তথ্য জানাননি। আমরা বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

আরও পড়ুন: 

ভুয়া এন-৯৫ মাস্ক এবার বিএসএমএমইউতে

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

13h ago