বাইরের বিষয়ে ভুলে থাকতে আর্চারকে হোল্ডিংয়ের পরামর্শ

সিরিজ চলাকালীন ‘জৈব সুরক্ষিত’ পরিবেশের নিয়ম ভেঙ্গে বাদ পড়েছিলেন, এমনিতেই আলোচনায় ছিলেন জোফরা আর্চার। এরমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণ বিদ্বেষের শিকার হয়ে আলোচনা পায় নতুন মাত্রা। মাঠের বাইরের এসব বিষয় খেলাতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার মাইকেল হোল্ডিং তাই ক্রিকেট ছাড়া বাকি সব কিছু থেকে দূরে থাকার তরিকা দিয়েছেন আর্চারকে।

নিয়ম না মানায় দ্বিতীয় টেস্টে ছিলেন না। ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র এক টেস্ট পরই ফিরেছেন দলে। এই টেস্টে তার উপর গণমাধ্যমের নজরও থাকবে বাড়তি।

স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে হোল্ডিং বলেন দলটা ইংল্যান্ড হওয়াতেই কেবল ক্রিকেটে থাকা সহজ হবে আর্চারের, ‘সে যে পরিবেশে আছে, এমন এক দলে খেলছে যারা মাত্রই জিতেছে। এজন্য কাজটা (মাঠের বাইরের ইস্যু নিয়ে না ভাবা) কঠিন হবে না। ইংল্যান্ড দলে তার অনেক বন্ধু। বেন স্টোকস তার খুব কাছে। যে কিনা খুব ইতিবাচক মানসিকতার।’

তার সময়ে গ্রেটদের কাতারে ছিলেন হোল্ডিং। ৬০ টেস্টে ২৪৯ উইকেট নিয়েছেন, আছে ম্যাচ জেতানো অনেক কীর্তি। ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত আর্চারের মধ্যেও সেই বারুদ দেখেন হোল্ডিং, ‘তার উচিত দলের সঙ্গে ভীষণভাবে যুক্ত থাকা। বাইরে কি হলো না ভেবে নিজের কাজটা করে যাওয়া। গ্রেট হওয়ার সব সম্ভাবনা তার আছে। তাকে ওই পথেই হাঁটতে হবে।’

তবে হোল্ডিং মানছেন বিদ্বেষের শিকার হলে সেটা চট করে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলাও সহজ নয়,  ‘যখন জাত, গায়ের রঙ, ধর্ম বা শারীরিক আকৃতি নিয়ে কথা উঠে, বাড়তি ওজন নিয়ে খোঁচা শুনতে হয়। এসব ভুলে থাকা সহজ নয়। সামলে উঠাও কঠিন। তবে নিজের কাজে মন দেওয়া হচ্ছে উত্তম উপায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকা দরকার এই সময়ে। আমার এসব একাউন্ট ছিল না।’