কাতার এয়ারওয়েজ থেকে বোর্ডিং পাস না দেওয়ার বিষয়টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা: বাংলাদেশ দূতাবাস

কাতার এয়ারওয়েজ

ব্রিটিশ-বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে কাতার এয়ারওয়েজ থেকে বোর্ডিং পাস না দেওয়ার বিষয়টি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এয়ারওয়েজের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কাতার এয়ারওয়েজের এ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন কর্তৃক সত্যায়িত বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিক যাত্রীদের দেওয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণাপত্রের গ্রহণযোগ্যতার অথবা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিমান যোগাযোগ অব্যাহত থাকার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

গত বৃহস্পতিবার ২৩ জুলাই কাতার এয়ারওয়েজ লন্ডন থেকে ঢাকাগামী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে কোনো কারণে বোর্ডিং পাস দেয়নি বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন থেকে বলা হয়, গত মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশগামী বাংলাদেশি ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিক (এনভিআরসহ) যাত্রীদের দেওয়া স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ঘোষণাপত্র হাইকমিশন সত্যায়ন করে দিচ্ছে। এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্রটি নিয়ে বাংলাদেশগামী যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমান, কাতার এয়ারওয়েজ ও এমিরেটস এয়ারওয়েজসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে গত মার্চ ও জুন-জুলাই মাসে বাংলাদেশে গিয়েছেন।

এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্রটি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ও ঢাকা বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছেও গৃহীত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কাতার এয়ারওয়েজ হঠাৎ কী কারণে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দেয়নি, বাংলাদেশ হাইকমিশন, সে বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের স্থানীয় অফিসের কাছে জানতে চেয়েছে।

ইতোমধ্যে অন্যান্য এয়ারলাইন্স কোভিড সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সনদের জন্য নতুন কোনো নীতিমালা গ্রহণ করেছে কি না সে বিষয়েও হাইকমিশন তথ্য সংগ্রহ করছে। যথাসময়ে হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের মাধ্যমে সেসব তথ্য সবাইকে জানানো হবে।

এ ছাড়া, বাংলাদেশ হাইকমিশন কাতারসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক বিমান যাত্রীদের টিকেট ক্রয়ের সময় নিজ দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স থেকে যাবতীয় শর্তাবলী যথাযথভাবে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। যাতে ভ্রমণের সময় তাদের কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়।

কিছু সংবাদমাধ্যম লন্ডন হাইকমিশন ‘হেলথ সার্টিফিকেট’ ইস্যু করেছে বলে যে খবর প্রচার করেছে, তা সঠিক নয় বলেও হাইকমিশন থেকে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, হাইকমিশন থেকে কোনো যাত্রীকে এ ধরণের হেলথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি। শুধুমাত্র বাংলাদেশগামী যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ঘোষণাপত্র সত্যায়ন করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং এ সত্যায়িত ঘোষণাপত্র নিয়ে যাত্রীরা বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে আগের মতোই ভ্রমণ করছেন।

এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে হাইকমিশন থকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations: Trump

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent

36m ago