‘খেলা দেখলে আফসোস লাগে, অনেকগুলো ৫০ বা ১০০ মিস হচ্ছে’
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে-বিদেশে মোট পাঁচটি সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। আবার কবে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন, তা বাকি খেলোয়াড়দের মতো মুশফিকুর রহিমেরও অজানা। পৃথিবীর অন্য একটা প্রান্তে যখন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হয়েছে, তখন কিছুটা হলেও আফসোস লাগছে এই তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের। তার মনে হচ্ছে, অনাকাঙ্ক্ষিত বিরতিতে অনেকগুলো ৫০ (হাফসেঞ্চুরি) বা ১০০ (সেঞ্চুরি) করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
রবিবার শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে খেলোয়াড়দের প্রথম ধাপের একক পর্যায়ের অনুশীলন। এরপর বোর্ডের পাঠানো ভিডিও বার্তায় মুশফিক বলেছেন, ‘(টিভিতে) খেলা দেখলে আসলে আফসোস লাগে। সারাদিন বাসায় বসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো ও খেলাটাই দেখা হয়। একটু হলেও খারাপ লাগে যে অনেকগুলো ৫০ (হাফসেঞ্চুরি) বা ১০০ (সেঞ্চুরি) মিস হয়ে যাচ্ছে।’
বিসিবির অনুমতি নিয়ে গেল ১৯ জুলাই থেকে মাঠে গিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করতে পেরেছেন আগ্রহী ক্রিকেটাররা। তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়সূচিও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বোর্ডের নিয়মকানুন মেনে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দিন থেকেই ঘাম ঝরিয়েছেন অনুশীলনে বরাবরই আন্তরিক মুশফিক।
পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে আগামীতে যখন ক্রিকেটে ফিরবেন, তখন শুরু থেকেই যেন চেনা ছন্দ দেখাতে পারেন, সেজন্য মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘চেষ্টা করছি টিভিতে খেলা দেখে কীভাবে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করা যায়। আর সব ঠিক থাকলে সামনে আমাদের কী কী খেলা (থাকবে), সেগুলো নিয়েও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া। এছাড়া নতুন নিয়ম, যেমন- বলে অনেক কিছু ব্যবহার করা যাবে না, ব্যাটসম্যানদেরও একটা কঠিন সময় থাকে; সবকিছু দেখে ওখান থেকেও শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন পুনরায় শুরু হবে, আবার যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারি, সেটাই চাই।’
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর পক্ষপাতী ছিল না বিসিবি। মূলত, মুশফিকসহ আরও দুই-তিন জন খেলোয়াড়ের প্রবল আগ্রহের কারণে দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে একক অনুশীলনের সুযোগ করে দেয় তারা। তাই বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিং কাণ্ডারি, ‘আমি সাত-আট দিন যেটা (অনুশীলন) করেছি, এটা খুবই ভালো হয়েছে। চার মাস ইনডোরে কাজ করা আর বাইরে কাজ করা সম্পূর্ণ আলাদা। চাচ্ছিলাম যে রোদে ও আউটফিল্ডে যেন রানিংটা করা যায়, ফিটনেস ওয়ার্কের সঙ্গে স্কিল ওয়ার্কও। এটা হয়েছে যাদের জন্য, সেই বিসিবিকে ধন্যবাদ।’
Comments