কুড়িগ্রামে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালীন ওই মহাসড়কে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের চিহ্নিত তরে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় তারা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কাঁঠালবাড়ী ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নিজামুল ইসলাম নিজাম, মেয়েটির বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, সহকারী শিক্ষক আবু সুফিয়ান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দেবরাজ উদ্দীনসহ মেয়েটির আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীরা।

ছিনাই ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে জানান, দোষীদের গ্রেপ্তারের সব রকম চেষ্টা চলছে। দোষীরা অজ্ঞাত হওয়ায় শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। তবে, পুলিশ খুব শিগগির তাদের শনাক্ত করবে।

পুলিশ জানায়, মুখোশ পরে কয়েকজন যুবক গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা ওই কিশোরীর বাবা, মা ও ছোট বোনকে বেঁধে রেখে তাকে বাড়ির পাশের বাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পরে ভোররাতে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে। নির্যাতনের শিকার কিশোরীকে প্রথমে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুরে সেখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

মুখোশ পরা যুবকরা নগদ টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে বলে মামলার নথিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বাবা-মাকে বেঁধে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Prisoners, migrants, even the deceased get implicated in cases

10h ago