মৃত্যু ৬ লাখ ৬৬ হাজার, আক্রান্ত ১ কোটি সাড়ে ৬৯ লাখের বেশি

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে ছয় লাখ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি সাড়ে ৬৯ লাখের বেশি। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন ৯৯ লাখের বেশি মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৬৯ লাখ ৭৮ হাজার ২০৬ জন এবং মারা গেছেন ছয় লাখ ৬৬ হাজার ২৩৯ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৯৯ লাখ ১৬ হাজার ২৩০ জন।
করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৫ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৭০৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪২৫ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৫২ হাজার ২৬৫ জন, মারা গেছেন ৯০ হাজার ১৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২২ হাজার ৮০২ জন।
মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৪৬ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ তিন হাজার ৫৮ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৮ জন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৯ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ১৯৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মেক্সিকোতে, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন আট লাখ ২৭ হাজার ৫০৯ জন, মারা গেছেন ১৩ হাজার ৬৫০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ১৯ হাজার ২০৪ জন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৭১ হাজার ১২৩ জন, মারা গেছেন সাত হাজার ৪৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৭ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ আট হাজার ৪৪৯ জন, মারা গেছেন ৪৫ হাজার ৩৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ১৪ হাজার ৫৩৮ জন।
পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৬৮৩ জন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ৮১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৪৪ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫১ হাজার ৫৭৫ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২৭৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৫৫৭ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৮ হাজার ৯০৯ জন, মারা গেছেন ১৬ হাজার ৩৪৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার ১১৬ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৮ হাজার ৯২৪ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৬৫৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ৫৫৭ জন।
ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৬৪১ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৪৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৬ জন, মারা গেছেন ৩৫ হাজার ১২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৯ হাজার ৩১ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৭৭ জন, মারা গেছেন ৩০ হাজার ২২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ আট হাজার ৫৪৬ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ১৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯১ হাজার ২৭৯ জন।
ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ২১৩ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার ৫৯৪ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন তিন হাজার ৩৫ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩০ হাজার ২৯২ জন।
Comments