করোনাকালে ইংল্যান্ড সফর: প্রতিদান পাওয়ার আশায় পিসিবি
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ইংল্যান্ড সফর করায় আগামীতে এর ফল পাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হলেও ইসিবির কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করছে পিসিবি।
করোনা মহামারিতে বেশিরভাগ দেশই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছে। মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি এড়াতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিয়েছে ভিন্ন পন্থা। জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে দর্শকশূন্য মাঠে চার মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে তারাই ফিরিয়েছে মাঠের ক্রিকেট।
ইসিবির আহবানে সাড়া দিয়ে তিন টেস্টের সিরিজ খেলে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একইভাবে ইসিবির ডাকে তিন টেস্ট আর তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান দল আছে ইংল্যান্ডে।
বারবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা আর কড়া আইসোলেশন বিধি মেনে খেলতে রাজী হওয়ায় ম্যাচ শুরুর এক মাস আগেই পৌঁছায় পাকিস্তান। বুধবার থেকে ম্যানচেস্টারে শুরু হবে দুদলের প্রথম টেস্ট।
বিশেষ পরিস্থিতিতে কড়া নিয়মের মধ্যে থেকে খেলতে রাজী হওয়ায় আগামীতে পাকিস্তানেরও সুবিধা দেখছে সেদেশের বোর্ড। পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম খান পিসিবির পডকাস্টে দিলেন তেমনই আভাস, ‘যদি বলেন এটা কি আগামীতে পাকিস্তানের ক্রিকেটকে সুবিধা দেবে? অবশ্যই দেবে।’
সেই সুবিধাটা যে কী, তাও আড়াল করেননি তিনি। এফটিপিতে ২০২২ সালে ইংল্যান্ড দলের পাকিস্তান সফরের সূচি নির্ধারিত আছে। কিন্তু ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর আর পাকিস্তান সফরে যায়নি ইংল্যান্ড দল। পাকিস্তানের সর্বশেষ ইংল্যান্ড খেলতে গিয়েছিল ২০০৫ সালে। এরপর থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতেই খেলে আসছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তান খেলে আসায় দেশটি নিজেদের দেশে ক্রিকেট স্বাভাবিক করতে মরিয়া হয়ে আছে। ওয়াসিম খানের আশা করোনায় ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার প্রতিদান হিসেবে ২০২২ সালে ইংল্যান্ড পাকিস্তান সফর করবে, ‘তাদের সঙ্গে কি বিনিময়ে চুক্তি হয়েছে? না অবশ্যই সেরকম কিছু নয়। এসবের সময় এখন না। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ইসিবি একটা পরিস্থিতিতে পড়েছে, আমরা পাশে থেকেছি। আগামীতেও তারা আমাদের সঙ্গে ঠিক কাজটা করবে।’
এই সময়ে ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়া অবশ্য কেবল পাকিস্তানের স্বার্থে না, ক্রিকেটের বৃহত্তর স্বার্থেই করা হয়েছে বলেও মনে করেন এই কর্মকর্তা, ‘একতা দেখানো অবশ্যই একটি সঠিক কাজ। কেবল পাকিস্তানের জন্য না, বিশ্ব ক্রিকেটের স্বার্থেও দরকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে, আমরাও করছি।’
Comments