দ্রুত রিপোর্ট না পেলে করোনা পরীক্ষা ‘সম্পূর্ণ অপচয়’: বিল গেটস

দ্রুত রিপোর্ট না পাওয়া গেলে সেই কোভিড-১৯ পরীক্ষাকে ‘সম্পূর্ণ অপচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও জনহিতৈষী বিল গেটস।
বিল গেটস | রয়টার্স ফাইল ছবি

দ্রুত রিপোর্ট না পাওয়া গেলে সেই কোভিড-১৯ পরীক্ষাকে ‘সম্পূর্ণ অপচয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ও জনহিতৈষী বিল গেটস।

সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষা পদ্ধতির সমালোচনা করেন মাইক্রোসফটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, বেশিরভাগ পরীক্ষাই ‘সম্পূর্ণ অপচয়’, কারণ রিপোর্ট আসতে অনেক বেশি সময় লাগে।

সিএনএন জানায়, বিল গেটসের মতে, মানুষের কাছে দ্রুত পরীক্ষার রিপোর্ট পৌঁছানো দরকার, যাতে তারা সে অনুযায়ী নিজেদের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে পারে। অন্যদের সংক্রমিত না করে সঙ্গনিরোধ করতে পারে।

বিল গেটস বলেন, ‘এরকম “কান্ডজ্ঞানহীনতা”র মুখোমুখি হলে সবচেয়ে সহজ কাজ হবে, কাউকে পরীক্ষা করার জন্য অর্থ না দেওয়া। যদি রিপোর্ট পেতে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে, তবে পরীক্ষার জন্য অর্থ পরিশোধ করাই উচিত না।’

‘ওই পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ অপচয়। আমরা যতগুলো পরীক্ষা করি তার সংখ্যাগরিষ্ঠই এরকম শুধুই অপচয়।’

করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগার পরেও ওই পরীক্ষার জন্য অর্থ পরিশোধ করাকে তিনি ‘কাণ্ডজ্ঞানহীনতা’ বলে উল্লেখ করেন।

কোভিড-১৯ এর চিকিত্সা ও ভ্যাকসিন গবেষণার জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছেন গেটস বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।

মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশব্যাপী পরীক্ষার গতি ধীর ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের বিস্তারের গতির সঙ্গে পরীক্ষার রিপোর্টে পেতে কত সময় লাগছে এটি সম্পর্কযুক্ত। কারণ পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে দেওয়া হলে করোনার বিস্তার ঠেকানোর সমস্ত কার্যক্রমই বাধাগ্রস্ত হয়।

বিল গেটসের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছেন মার্কিন হেলথ ও হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল ব্রেট গ্যরোয়্যার। করোনার পরীক্ষা পদ্ধতি উন্নত হওয়া প্রয়োজন বলে তিনিও মনে করেন।

সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া না গেলে আমরা কখনোই টেস্টিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারব না। আমি খুশি হব যদি সবখানে ‘পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং’ সেবা চালু করা যায়। আমরা এখনও সেখানে পৌঁছাতে পারিনি। তবে, এটি করার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’

গ্যরোয়্যার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মোট করোনা পরীক্ষার অর্ধেকই বড় বাণিজ্যিক ল্যাবগুলোতে হয়ে থাকে, যারা রিপোর্ট দিতে গড়ে ৪ দশমিক ২৭ দিন সময় নিয়ে থাকেন।

দেশটির কোভিড ট্র্যাকিং প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ২৮ জুলাই ৭ লাখ ৩৩ হাজার ২৪৩টি পরীক্ষা হয়েছে, যা এপ্রিলের শেষ দিকের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি।

বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ২৭ হাজারেরও বেশি, মারা গেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago