ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা হাজারো মানুষ। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটারে কোথাও ধীরে ধীরে গাড়ি চললেও অনেক জায়গাতে গাড়ি থেমে আছে।
আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টায় মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী আইয়ুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অতিরিক্ত যানবহনের চাপে ও সেতুর ওপর গাড়ির চাপ কমানোর জন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মোট পাঁচবার সেতুর টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয়।’
‘সেতুর পূর্ব প্রান্তে যানবহনের দীর্ঘ সারি হয়ে যায়’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তারপরও আমরা মহাসড়কে গাড়ি সচল রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে ডেইলি স্টারকে আজ দুপুর সোয়া ১২টায় জানানো হয়েছে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
কন্ট্রোল রুম থেকে আরও জানানো হয়, অতিরিক্ত গাড়ির চাপে সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়ির দীর্ঘ সারি সেতুর ওপর চলে এলে টোল আদায় এমনিতেই বন্ধ রাখতে হয়।
রাস্তায় যানবহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।
এতে গাড়ির ভেতর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুঃসহ গরমে বসে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ।
মহাসড়কে কোরবানীর পশুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত যানবহনের চাপে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজা কয়েক দফা বন্ধ থাকা এবং মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চার-লেন প্রকল্পের অসমাপ্ত ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসগুলোর কারণে যান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে মহাসড়কে কর্তব্যরত পুলিশ।
গোরাই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে জানান, আজ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীর গতিতে হলেও মহাসড়কে গাড়িগুলো সচল রয়েছে।
তবে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে গোরাই, মির্জাপুর, পাকুল্লা, নাটিয়াপাড়া, বাঐখোলা, করটিয়া, তারটিয়া, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে গাড়ির লম্বা লাইন রয়েছে।
তারা জানান, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকায়।
উত্তরবঙ্গগামী বাসের যাত্রী মো. আল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাত ১২টায় ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। সকাল নয়টায়ও টাঙ্গাইলের সীমানা পার হতে পারেননি।’
তিন ঘণ্টায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে সল্লা এলাকায় পৌঁছেছেন বলেও জানান তিনি।
তাজ পরিবহনের যাত্রী সুমাইয়া আক্তার ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি রাত ১১টায় ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে পারেননি।
Comments