আশ্রয়কেন্দ্রে ঈদ করবেন হাওর পাড়ের ১৯৫০ পরিবার

‘এইবার আমরার ঈদ হইতো নায়’
Sunamganj_Tahirpur_Shelter_.jpg
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের একটি আশ্রয়কেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

তিন দফা বন্যায় থমকে গেছে সুনামগঞ্জের হাওর পাড়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন। বাড়িতে পানি উঠে সহায়-সম্বল হারিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন হাওর পাড়ের এক হাজার ৯৫০টি পরিবার। ঈদের দিনও তাদের সেখানেই কাটবে।

আজ শুক্রবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো জেলার ২৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৯৫০টি পরিবার অবস্থান করছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে, গতকাল রাত পর্যন্ত সুনামগঞ্জে পুরাতন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকালে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।’

জামালগঞ্জের পাগনার হাওর পাড়ের ফেনারবাঁক ইউনিয়নের সাজেন মিয়া বলেন, ‘এখনো কাশিপুর স্কুলে আমিসহ আরও কিছু পরিবার আছে। বাড়ি ছাইড়া এইভাবে কি ঈদ করা যায়? পানি আইয়া আমরার ঈদ আনন্দের বদলে মারাত্মক কষ্টের মধ্যে ফালাইয়া দিছে। এইবার আমরার ঈদ হইতো নায়।’

তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের রামজীবনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘করোনার মধ্যেই আবার বন্যা। এখনো ঘর-বাড়িতে পানি। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছি। দুর্ভোগ-দুর্দশার মধ্য দিয়ে দিন কাটছে। এক কথায় এবারের ঈদ আনন্দ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।’

সুনামগঞ্জের পৌর মেয়র নাদের বখত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পানি ধীর গতিতে নামায় অনেকেই নিজের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। আরও কয়েকদিন হয়তো তাদের আশ্রয়কেন্দ্রেই কাটাতে হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বলে দেওয়া হয়েছে, ঈদ উপলক্ষে যেন বন্যার্তরা অতি দরিদ্রদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কার্যক্রম ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির চাল পায়।’

Comments

The Daily Star  | English

Exports grow 8.58% in FY25

However, June’s shipment fell 7.55% year-on-year

55m ago