মালিকদের সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামে ৫টি দৈনিক পত্রিকা বন্ধ
সংবাদকর্মীদের পূর্ণ বোনাসের দাবিতে দৈনিক আজাদী সম্পাদকের বাসভবন ঘেরাওয়ের পর চট্টগ্রামে একযোগে পাঁচটি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সংগঠন ‘চট্টগ্রাম নিউজ পেপারস অ্যালায়েন্স’।
গত বুধবার নগরীর খলিফাপট্টি এলাকায় দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেকের বাসভবন ঘেরাওয়ের পরদিন থেকে পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই পত্রিকাশূন্য ছিল চট্টগ্রাম।
প্রকাশনা বন্ধ থাকা পত্রিকাগুলো হলো— দৈনিক আজাদী, দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, দৈনিক পূর্বদেশ ও দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ।
এসব পত্রিকায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের ঈদুল আজহার অর্ধেক বোনাস দেওয়া হয়। পূর্ণ বোনাসের দাবিতে গত ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। দাবি আদায় না হওয়ায় সম্পাদকদের বাসভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়া হয়। ২৯ জুলাই সিইউজে প্রথম কর্মসূচি পালন করে।
পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক ও চট্টগ্রাম নিউজ পেপারস অ্যালায়েন্সের সভাপতি এম এ মালেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সিইউজের অধীনে প্রতিটি হাউসে ইউনিট কমিটি আছে। দাবি-দাওয়া নিয়ে তারা সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। এটাই নিয়ম।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার পত্রিকায় কর্মরত সবাইকে ডেকে কথা বলেছি বোনাসের বিষয়ে। তারা রাজি হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে বোনাস দেওয়া হয়েছে সেটা তারা গ্রহণ করেছে। আমি কি এমন অপরাধ করে ফেললাম যে, আমার বাড়ি ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি পালন করা হলো।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব পত্রিকার ইউনিট যদি মালিকদের সঙ্গে সমঝোতায় আসে তাহলে পত্রিকার বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
জানতে চাইলে সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ঈদুল ফিতরের সময় যখন অর্ধেক বোনাস দেওয়া হয়েছে, তখনো আমরা মালিক-সম্পাদকদের চিঠি দিয়ে আমাদের সঙ্গে বসতে বলেছিলাম। সেটাতে তারা কর্ণপাত করেননি। এবারের ঈদেও অর্ধেক বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নিউজ পেপারস অ্যালায়েন্সের সভাপতিকে চিঠি দিয়ে সিইউজের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছি, সেটাও প্রত্যাখান করা হয়েছে।’
‘তখন আমরা সভাপতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছি। তিনি পরে জানাবেন বলে সিইউজেকে আশ্বাস দেন। কিন্তু পরে আর জানাননি। এরপর ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে আমরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করি। ঈদের পরে সিইউজে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে’— বলেন শামসুল ইসলাম।
Comments