ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ে শেষ দিনে জমজমাট পশুর হাট
ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন পশুর হাটে আজ শেষ দিনে ক্রেতার সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশি এবং কিছুটা চড়া দামে কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে।
আজ শুক্রবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোচাবাড়ী, মাদারগঞ্জ, সেনুয়া ও পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বোদা হাট ও আটোয়ারী উপজেলার ফকিরগঞ্জ হাটের পশু ব্যবসায়ী, ইজারাদার ও পশু বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ হাটের ইজারাদার মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত কয়েক হাটে গরুর ক্রেতা কম থাকলেও আজ ক্রেতা বেশি হওয়ায়, গরুর দাম তুলনামূলক বাড়তি ছিল।'
খোচাবাড়ি হাটের ইজারাদার গণেশ ঘোষ বলেন, 'আকার ও মান ভেদে আজ গরু প্রতি পাঁচ থেকে বার হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। গত কয়েক হাটে একটি মাঝারি আকারের ৮০ থেকে ৮৫ কেজি ওজনের গরু ৪৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও, আজ সেই গরুগুলো সহজেই ৫৬ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পঞ্চগড়ের বোদা হাটের পশু ব্যবসায়ী ওয়ালিউর রহমান বলেন, 'আজ গরুর পাশাপাশি ছাগলের দামও বাড়তি। গরুর রোগের কারণে এ বছর অনেকেই গরুর পরিবর্তে ছাগল কোরবানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, ছাগলের চাহিদা বেড়েছে। সে কারণে, ছাগলের দামও বেড়েছে।'
বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী গ্রামের বাসিন্দা শফিউল আলম বলেন, 'প্রতি বছর গরু কোরবানি দিই। কিন্তু এবার গরুর রোগের কথা ভেবে গরুর পরিবর্তে ছয়টি ছাগল কিনেছি কোরবানির জন্য।'
একই গ্রামের নব বর্মণ বলেন, 'গত কয়েক হাটে আমার একটি মাঝারি আকারের ষাঁড় গরু বিক্রির জন্য বোদা হাটে নিয়ে আসি। কিন্তু, ৪৮ হাজার টাকার বেশি দাম বলছিল না ক্রেতারা। আজ সেই গরু ৫৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।'
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, 'জেলায় ২৪টি পশু বিক্রির হাট রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি স্থায়ী ও বাকিগুলো ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে। কোরবানিকে কেন্দ্র করে এবার জেলায় গরু, ছাগল, ভেড়াসহ সব মিলিয়ে স্থানীয় কৃষকরা ৮০ হাজার ৪৫৯টি পশু পালন করেছে।'
জেলায় কোরবানির পশুর আনুমানিক চাহিদা ৭৭ হাজার বলে তিনি জানান।
অপর দিকে পঞ্চগড়ে কোরবানির জন্য ৫৭ হাজার ৪০৮টি পশু পালন করা হয়েছে, যা জেলার ১২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশু হাটে কেনা-বেচা হয়েছে বলে জানান পঞ্চগড়ের জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) আব্দুল মজিদ।
Comments