সুনামগঞ্জের বানভাসি মানুষের ভরসা মোবাইল চুলা

আশ্রয়কেন্দ্রে রান্নার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার বাড়িতে একমাসের বেশি পানি থাকায় স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা, তাই বাড়িতেও রান্নার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এমন সময়ে বানভাসি মানুষের পানি বিশুদ্ধ ও খাবার সিদ্ধ করে খাওয়ার একমাত্র ভরসা মোবাইল চুলা।
ছবি: সংগৃহীত

আশ্রয়কেন্দ্রে রান্নার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার বাড়িতে একমাসের বেশি পানি থাকায় স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা, তাই বাড়িতেও রান্নার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এমন সময়ে বানভাসি মানুষের পানি বিশুদ্ধ ও খাবার সিদ্ধ করে খাওয়ার একমাত্র ভরসা মোবাইল চুলা।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া আয়শা বেগম ঈদের দিনে বলেন, ‘বন্যায় সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি। বাড়িতে পানি ওঠায় কোনো কিছু আনতে না পারলেও চুলাটা নিয়ে এসেছি। কারণ, চুলা থাকলে কিছু সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। এটি এমনভাবে তৈরি করেছি যেন সবসময় বহন করা যায়।’

সুনামগঞ্জ জেলা শহরের আরপিননগর এলাকার সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী সাজনা বেগম বলেন, ‘তিন বারের বন্যার আমার স্বামী বিছানাপত্রসহ আসবাবপত্র রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু, আমি এই চুলা নিতে ভুলিনি। এই চুলা না থাকলে পরিষ্কার পানি পর্যন্ত খাওয়া মুশকিল ছিল। অনেকে চাল দেয়। কিন্তু কেউ তো সিদ্ধ করে ভাত দেয় না। তাই সিদ্ধ করে খাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এটি।’

প্রতিবেশী হোসনা বেগম বলেন, ‘আমাদের বাড়ির ভিতরে অনেকদিন পানি ছিল, তাই রান্নার পরিবেশ নেই। ঈদের দিনে পাশের বাড়ির ভাবির চুলা নিয়ে আসি। এটা দিয়ে ঈদের দিনের খাবার রান্না করলাম। এই মোবাইল চুলা বানভাসিদের জন্য অনেক উপকারী।’

সুনামগঞ্জের পৌর মেয়র নাদের বখত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বানভাসি মানুষের ত্রাণ দেওয়া অব্যাহত আছে। বন্যা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রম চলতে থাকবে।’

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago