হতাশায় খেলা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ব্রড

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৮ বছর পর দেশের মাঠে কোন টেস্টে বাদ পড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়ে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি
stuart broad
ছবি: এএফপি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে একাদশে জায়গা হারিয়েছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ৮ বছর পর দেশের মাঠে কোন টেস্টে বাদ পড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়ে হতাশায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। ৩৪ বছর বয়েসী পেসার নিজের শেষটাও দেখে ফেলেছিলেন তখন। অথচ পরের দুই টেস্টে ফিরে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে তিনিই সিরিজ সেরা।

সাউদাম্পটনে ওই টেস্টে ব্রড ছিলেন না, হেরেছিল তার দল ইংল্যান্ডও। ম্যানচেস্টারের পরের দুই টেস্টে ফিরে তিনিই হয়ে উঠেন দলের মূল চালিকাশক্তি। শেষ টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার পথে ১০ উইকেট নিয়ে জেতাল দলকে।

এখন আরও ক’বছর এভাবে খেলে যাওয়ার তাড়না পাচ্ছেন তিনি। অথচ মাত্র কদিন আগেই মনোজগতে বাসা বেঁধেছিল শেষের সুর। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইলকে তখনকার মানসিক অবস্থার কথা খোলামেলাভাবে জানিয়েছেন তিনি।

সেই ম্যাচের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বেন স্টোকসের কাছে একাদশে জায়গা হারানোর কথা অবিশ্বাস্য লেগেছিল ব্রডের,  ‘যদি বলেন আমি কি অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম? একশভাগ। কারণ প্রচণ্ড ভেঙ্গে পড়েছিলাম, চরম হতাশ হয়েছিলাম। আমি ধরেই নিয়েছিলাম ম্যাচটাতে আমি খেলব। এমন ভাবনা বিপদজনক। তবে মনে হয়েছিল জায়গাটা আমার প্রাপ্য।’

‘স্টোকসি (বেন স্টোকস, ওই ম্যাচের অধিনায়ক) এসে যখন বলল আমি একাদশে নেই, আমার শরীর কাঁপতে শুরু করে। কথাই বলতে পারছিলাম না।’

জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে খেলা হওয়ায় হতাশা থেকে বেরুতে বাইরে গিয়ে কারো সঙ্গে দেখা করারও উপায় ছিল না। তা আরও বেশি আক্রান্ত করে তাকে, ‘ওই টেস্টের সময় হোটেলে আটকা ছিলাম, মানসিকভাবে এতটা বিধ্বস্ত এরমধ্যে আবার কোথাও যেতে পারছিলাম না। মলির (বান্ধবী) কাছে গিয়ে বারবিকিউ করব, মজা করব সেই উপায়ও ছিল না।’

‘ঘুমটুম চলে গিয়েছিল। এতটা আবেগপ্রবণ ছিলাম যেকোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারতাম।’

বাদ পড়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন একটি গণমাধ্যমে। নিজেকে দলের বাকিদের থেকে একটু আলাদা করে ফেলেছিলেন। ব্রডের অভিমান টের পেয়ে স্টোকসই গিয়ে পাশে দাঁড়ান,  ‘টেস্টের দ্বিতীয় দিন পর রাতে স্টোকসি এসে রুমের দরজার নক করল। জিজ্ঞেস করল, “ক্রিকেট নিয়ে কিছু বলছি না, কেমন আছি?” ওর এই ব্যাপারটা স্পর্শ করেছিল।’

৩৮ পেরুনো অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ৩৪ পেরুনো ব্রড বয়সের বাধা ভুল প্রমাণ করছেন। তার মতে ইংল্যান্ডের সেরা একাদশে তাদের বোলিং জুটি এখনো নিশ্চিতভাবেই প্রথম পছন্দ,  ‘ইংল্যান্ডের সেরা একাদশে এখনো নিজেকে দেখি, অবশ্যই। যদি প্রশ্ন হয় আমার ও জিমির সেরা একাদশে থাকা উচিত? অবশ্যই উচিত । কারণ আমরা দুজনেই আরও উন্নতি করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago