গাজীপুরে ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের দাবি

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য ঘোষিত সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

আজ সোমবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক মো. সোহরাব হোসাইন ওই দাবি করেন।

গাজীপুর মহানগরের প্রধান ও শাখা সড়কগুলোর আশপাশে এবার পশু জবাই না করার ব্যাপারে সিটি করপোরেশন থেকে নিষেধাজ্ঞা ছিল কড়াকাড়ি। ফলে মহাসড়কের শাখা ও মহাসড়কগুলোর আশপাশে পশু জবাইয়ের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু, শাখা সড়কগুলোর অনেক স্থানে এ নির্দেশনা মানা হয়নি। আর স্থানীয়রা পশু জবাইয়ের পর নিজ উদ্যোগে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলেছেন।

মহানগরের গাছা মধ্যপাড়া এলাকার মোবারক হোসেন জানান, শাখা সড়কগুলোতে যারা পশু জবাই করেছন তারা নিজ উদ্যোগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলে এসেছেন।

কোনাবাড়ীর রাজাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘স্থানীয়দের মধ্যে ঈদের দুদিন আগে সিটি করপোরেশন থেকে ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়। ঈদের দিন পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে সেগুলো নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করে ফেলেছি।’

টঙ্গী কলেজগেট এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক বদরুল আলম জানান, নাগরিকেরা নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এসে বর্জ্য সরিয়ে নিয়েছে। সোমবারও সারাদিন পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে। তারা অতিরিক্ত বর্জ্য জমা হতে দেয়নি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘প্রায় তিন হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী ঈদের দিন থেকেই বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত আছেন। মেয়র ৪৮ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।’

‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সোমবারও সারাদিন বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত আছে। সাধারণত পুরো গাজীপুর মহানগরে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সৃষ্টি হয়। ঈদে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, যেসব এলাকার রাস্তা সরু সেখানে বর্জ্যের গাড়ী তাৎক্ষণিক প্রবেশ করতে পারেনি। এমন কিছু এলাকায় বর্জ্য অপসারণ করতে সামান্য সময় লাগতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

16h ago