'মেসি নির্ভরতা কাটিয়ে স্বাধীন হতে হবে বার্সেলোনাকে'

সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনার। জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, হ্যাভিয়ার মাসচেরানোর মতো খেলোয়াড়দের যাওয়ার পর পুরো দলকে এক অর্থে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু যেদিন প্রতিপক্ষরা তাকে আটকাতে সমর্থ হয়, সেদিনই ভুগতে হয় দলটিকে। তাই এখন থেকে মেসির উপর নির্ভরশীল না হয়ে ভিন্ন কৌশলে নিজেদের আরও স্বাধীনভাবে খেলা উচিৎ বলে মনে করেন ক্লাবটির সাবেক তারকা ডিফেন্ডার আলবার্ট ফেরার।
ছবি: এএফপি

সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনার। জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, হ্যাভিয়ার মাসচেরানোর মতো খেলোয়াড়দের যাওয়ার পর পুরো দলকে এক অর্থে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কিন্তু যেদিন প্রতিপক্ষরা তাকে আটকাতে সমর্থ হয়, সেদিনই ভুগতে হয় দলটিকে। তাই এখন থেকে মেসির উপর নির্ভরশীল না হয়ে ভিন্ন কৌশলে নিজেদের আরও স্বাধীনভাবে খেলা উচিৎ বলে মনে করেন ক্লাবটির সাবেক তারকা ডিফেন্ডার আলবার্ট ফেরার।

সম্প্রতি ফোরফোরটুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেরার বলেছেন, 'এটা ভিন্ন একটি পরিস্থিতি। অন্য কোনো দল বলতে পারবে না তারা নির্দিষ্ট একজন খেলোয়াড়ের উপর এতোটা নির্ভর করে। মেসি নির্ভরতা কাটিয়ে স্বাধীন হতে হবে বার্সেলোনাকে যদিও সে এখনও বিশ্বের সেরা এবং আপনি যখন তাকে বল দিবেন সে কিছু না কিছু করবেই।'

এখনই ভিন্ন কিছু চিন্তা করার আহ্বান জানান ফেরার, 'এটা বার্সেলোনার জন্য ভালো যে তাদের এখনও মেসি আছে তবে অন্য খেলোয়াড়দের আরও বেশি খেলা উচিৎ যাতে সবকিছু ওকেই করতে না হয়। মেসিকে আটকানো বেশ কঠিন তবে মাঝে মধ্যে সে চারপাশ থেকে আটকে যায়। তখন আপনাকে ভিন্ন পথ অবলম্বন করতে হবে। বার্সেলোনার উচিৎ ভিন্ন আরও কিছু খেলোয়াড়কে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা এবং ভিন্নভাবে তাকে সাহায্য করা। তাদের হাতে আনসু ফাতির মতো ভালো কিছু বিকল্পও রয়েছে।'

চলতি মৌসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন মেসি। ২৫টি গোল দিয়ে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। জাভির রেকর্ড ছুঁয়ে সর্বোচ্চ ২০টি গোলে সহায়তাও করেছেন। তারপরও ক্লাবকে ভুগতে হয়েছে। টানা দুই বছর শিরোপা হাতছাড়া করে দলটি। এমনকি ট্রফিহীন মৌসুম কাটানোর সামনে দলটি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিরতির আগে সব ঠিক ছিল বলেই মনে করেন ফেরার। এরপর টানা সূচিই সব বদলে দিয়েছে জানান তিনি।

নিজের যুক্তি তুলে সাবেক এ ডিফেন্ডার বলেন, 'আমার মনে হয় লকডাউনের আগে বার্সেলোনার সবকিছু ঠিক ছিল। আমার মনে হয় এরপর স্কোয়াড কিছুটা ছোট হয়ে পড়ে যে কারণে পরে তারা ওইভাবে খেলোয়াড় অদল-বদল করতে পারেনি। কিছু ম্যাচে বার্সেলোনা বি দলের ছয় সাত জন খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখতে হয়েছে যদিও তারা খুবই মেধাবী। তারা তারপরও হেরেছে বিশেষকরে রক্ষণভাগে সংগ্রাম করেছে। রিজার্ভ বেঞ্চের গভীরতা না থাকা অন্যতম একটা কারণ।'

'এছাড়া তারা ভিন্নভাবে খেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যখন প্রতি তিন দিনে একটি করে ম্যাচ খেলতে হয়েছে তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তখন আপনি শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে খেলেছেন। এটা অদ্ভুত পরিস্থিতি। এছাড়া আপনাকে রিয়াল মাদ্রিদের দারুণ একটি যাত্রাকেও কৃতিত্ব দিতে হবে।' - এছাড়া প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদকেও কৃতিত্ব দেন তিনি।

দলের তরুণ খেলোয়াড়দের এখনই এগিয়ে আসার সময় বলে মনে করেন ফেরার, 'বার্সেলোনা সবসময় সব কিছু জিততে পারবে না। শেষ ১২টি শিরোপার মধ্যে তারা আটটি জিতেছে। এরমধ্যে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় চলে গিয়েছে তাই সবকিছু মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। আমার মনে হয় তারা যা কিছু করতে চাইছে তা ঠিক আছে। তারা একটি রূপান্তর করার চেষ্টা করছে এবং কিছু নতুন খেলোয়াড় এবং একাডেমী থেকে কিছু তরুণ খেলোয়াড় আনতে চাইছে।'

এমনকি প্রয়োজনে খেলার কৌশলও বদল করার পক্ষে তিনি, 'খেলোয়াড় খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন যখন আপনার দলে লিও (মেসি) ও (সের্জিও) বুসকেতসের মানের খেলোয়াড় থাকে। তবে নতুন খেলোয়াড়দের আসার পর নিজেদের গতি ও মানকে আরও বাড়ানো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ফরমেশন পরিবর্তনও হয়তো করতে হবে। হ্যাঁ, ৪-৩-৩ বার্সেলোনার জন্য বেশ ভালো তবে তাদের আরও ভিন্ন কিছু চিন্তা করতে হবে। হয়তো এটাই চাবিকাঠি হবে।'

তবে এতো কিছুর পরও মেসিকে তার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনাতেই দেখতে চান ফেরার, 'লিওনেল মেসি কি ভাববেন তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই, আমরা এটা প্রত্যাশাও করি কারণ সে একজন জয়ী। সে সবকিছুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে চায়। আমার মতে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তার বার্সেলোনাতেই থাকা উচিৎ। সে বার্সেলোনাকে ভালোবাসে, দলকে এবং এ ক্লাবটিকে।'

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

5m ago