লকডাউনের আগে পিএসজিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন রোনালদো!

নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা বরাবরই পছন্দ করেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ইংলিশ লিগ ও লা লিগায় দারুণ সব কীর্তি গড়ার পর সিরি আর চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন বছর দুই আগে। সে সঙ্গে যোগ হতে পারতো আরও একটি মাত্রাও। আরেক শীর্ষ লিগ ওয়ানেও প্রায় যোগ দেওয়ার জন্য মনঃস্থির করে ফেলেছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে বদলে দিয়েছে সবকিছু। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল।
ছবি: এএফপি

নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা বরাবরই পছন্দ করেন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ইংলিশ লিগ ও লা লিগায় দারুণ সব কীর্তি গড়ার পর সিরি আর চ্যালেঞ্জটা নিয়েছেন বছর দুই আগে। সে সঙ্গে যোগ হতে পারতো আরও একটি মাত্রাও। আরেক শীর্ষ লিগ ওয়ানেও প্রায় যোগ দেওয়ার জন্য মনঃস্থির করে ফেলেছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে বদলে দিয়েছে সবকিছু। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল।

ফরাসি গণমাধ্যমটির সংবাদ অনুযায়ী, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে খেলার জন্য হৃদয় স্থির করে ফেলছিলেন রোনালদো। ব্রাজিলিয়ান তারকার সঙ্গে যোগাযোগও হয়েছে তার। সে সময়ই যদি ক্লাবটির মালিক নাসের আল খেলাইফি আগ্রহ প্রকাশ করতেন তাহলেই নতুন মৌসুমে প্যারিসে দেখা যেতে পারতো রোনালদোকে। কিন্তু কিছুটা দেরি করেন খেলাইফি। আর এরপর করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি যায় পাল্টে।

সংবাদে আরও বলা হয়েছে, তুরিনের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অসুখী হয়ে পড়েন রোনালদো। এমনকি সেখানে কখনোই ছিলেন না এ পর্তুগিজ তারকা! জুভেন্টাস বড় ক্লাব হলেও রোনালদোকে সুখী করার সক্ষমতা তাদের ছিল না বলেই জানায় তারা।

মূল ঘটনাটি অবশ্য গত ২২ অক্টোবরের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে লোকোমটিভ মস্কোকে হারিয়ে সবেই তুরিনে ফিরেছেন রোনালদোরা। কিন্তু ফেরার পর উষ্ণ কোনো অভ্যর্থনা পাননি তারা। সবকিছুই ছিল নীরব, যেন ম্যাচ হেরে ফিরেছে দলটি। বিষয়টি ভালো লাগেনি রোনালদোর। এরপরই ক্লাব বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

যদিও সে ম্যাচে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট কিছুই করতে পারেননি রোনালদো। কিন্তু এমনটায় অভ্যস্ত ছিলেন না তিনি। রিয়াল মাদ্রিদে থাকতে গোল-অ্যাসিস্ট না করলেও তার অবদানের ব্যপার নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতো সমর্থকরা। তখনই বুঝে গিয়েছিলেন তুরিন আর যাই হোক, মাদ্রিদের মতো নয়। তুরিনে মাদ্রিদের মতো গ্রহণযোগ্যতাও তার নেই। এরপরই পিএসজির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন শেষে আর্থিক দিক দিয়ে প্রায় সব ক্লাবই ক্ষতির মুখ দেখায় শেষ পর্যন্ত তুরিনেই থাকতে হচ্ছে রোনালদোকে। 

এদিকে, বয়সটা ৩৫ ছাড়ালেও এখনও দারুণ ছন্দে খেলে চলেছেন রোনালদো। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরি আয় কমপক্ষে ৫০ গোল দেওয়ার অবিশ্বাস্য এক রেকর্ড গড়েছেন কদিন আগেই। ক্যারিয়ারে জিতেছেন পাঁচটি ব্যলন ডি'অর। তাই বাড়তি কিছু আশা করতেই পারেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago