চীনের ভ্যাকসিনের ফল সন্তোষজনক হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগ: স্বাস্থ্য সচিব

চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন, ‘চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের বাংলাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআর, বির মাধ্যমে আবেদন করেছে। আবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আজ আইসিডিডিআর,বির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি।’

সভা শেষে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর মাঝে এই ট্রায়াল সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে।

‘চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফল পাওয়ার পর যদি এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় তাহলে এর ফল পেতে ছয় মাস সময় লাগবে। এর মধ্যে যদি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য দেশের অন্যান্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যায় তবে আমরা সেটি পাওয়ার জন্যও যোগাযোগ রাখছি,’ যোগ করেন স্বাস্থ্য সচিব।

আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি  সিনোভ্যাক একটি বেসরকারি কোম্পানি । এর সঙ্গে চীন সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন ইতোপূর্বে চীনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে পরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনা রেখে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি তা সন্তোষজনক হয় তবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে এ ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, বর্তমান বিশ্বের ছয়টি কোম্পানির ভ্যাকসিন ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। দেশে সময় মতো ট্রায়াল দেয়া হলে চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি ভ্যাকসিন দেশের সাধারণ মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে অন্তত ছয় মাসের মতো লাগতে পারে বলে সভায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান।

এই ভ্যাকসিন ১৮-৫৯ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে প্রথমে প্রয়োগ করা হবে। তৃতীয় ধাপের পর ভ্যাকসিনটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে বলেও বক্তারা জানান।

সভায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) মো. মোস্তফা কামাল,  রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, আইসিডিডিআর, বির প্রতিনিধি চারজন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন পরিচালক ডা. মো. শামসুল হকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago